Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভিড় দেখে, দেখিয়ে উল্লসিত কংগ্রেস

মাঠের প্রায় অর্ধেক নিয়ে তৈরি হয়েছিল হেলিপ্যাড। তার পরও বাকি অংশ ভরবে কিনা, তাই নিয়ে চিন্তায় ছিলেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু শনিবার দুপুরে রাহুল গাঁধীর জনসভা উপচে পড়ল। মাঠ এতটাই ঠাসাঠাসি যে এক সময়ে বিশৃঙ্খলাও দেখা যায় সেখানে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বাপি মজুমদার
চাঁচল শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯ ০৪:২৯
Share: Save:

মাঠের প্রায় অর্ধেক নিয়ে তৈরি হয়েছিল হেলিপ্যাড। তার পরও বাকি অংশ ভরবে কিনা, তাই নিয়ে চিন্তায় ছিলেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু শনিবার দুপুরে রাহুল গাঁধীর জনসভা উপচে পড়ল। মাঠ এতটাই ঠাসাঠাসি যে এক সময়ে বিশৃঙ্খলাও দেখা যায় সেখানে। যা সামলাতে ইশা খান চৌধুরীকে বাঁশের ব্যারিকেডের উপরে উঠতে হয়। তবে রাহুল আসার আগেই তা সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে। দিনের শেষে অবশ্য জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব সে সব নিয়ে ভাবছেন না। তাঁরা খুশি ভিড় দেখে।

অথচ স্থানীয় কংগ্রেস নেতারাই এত দিন ধরে অভিযোগ করছিলেন, জনসভায় ভিড় আটকাতে গাড়ি মালিকদের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। এ দিন জেলা জুড়ে ওই একই সময়ে তৃণমূলের কর্মিসভা ছিল। সেই উদাহরণ দিয়েও কংগ্রেস নেতারা বলছেন, রাহুলের সভায় ভিড় আটকাতে কোনও চেষ্টাই বাকি রাখেনি শাসক দল। তৃণমূল অবশ্য এই দু’টি বিষয়কেই উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, অনেক সময়েই দুপুরে কর্মিসভা হয়। আর গাড়ি আটকানোর চেষ্টাও কেউ করেনি।

ভিড়ের কথা এড়াচ্ছেন না স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘অনেক মানুষ এসেছেন, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাঁরা রাহুলকে দেখতে এসেছিলেন।’’ সেটাই কি একমাত্র কারণ? বস্তুত, কংগ্রেসের অন্দরেও অনেকে মানছেন, ভিড় প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে। বিজেপি বা তৃণমূলের সভায় যে দলীয় কর্মীদের বাহিনী ভিড় সামলায়, তেমন কিছু চোখে পড়েনি। কংগ্রেস নেতারা অনেক বেশি নির্ভর করেছিলেন পুলিশের উপরে। এক সময়ে বিশৃঙ্খলা সামলাতে ইশা, দীপা দাশমুন্সিকেই ব্যারিকেডের উপরে দাঁড়াতে হয়।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

জেলার রাজনীতিকদের মতে, প্রথমত, এই এলাকাটি কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। দশ বছর ধরে এই এলাকার সাংসদ মৌসম। তার আগে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে ছিল চাঁচল। তখন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি জিততেন। এ দিন যাঁরা কাছ থেকে ভিড় দেখেছেন, তাঁদের কথায়, লোক বেশি এসেছে চাঁচলের আশপাশ থেকে। দূর থেকে গাড়ি ভরিয়ে লোক আসতে দেখা যায়নি। দ্বিতীয়ত, হেলিপ্যাড করায় মাঠ এমনিতেই ছোট হয়ে গিয়েছে। তাই ভিড় আরও জমাট মনে হয়েছে।

তবে রাহুলের সামনে লোক দেখাতে পেরে জেলা নেতৃত্ব খুশি। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ইন্দ্রনারায়ণ মজুমদার তাই বলেন, ‘‘যে যাই বলুক, কংগ্রেস তার হারানো মাটি ফিরে পেয়েছে। আজ তা প্রমাণ হয়ে গেল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE