মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বিজেপি যে সরকার গড়তে পারবে না তা বোঝাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বার রাজ্যওয়াড়ি ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করলেন। সেই সঙ্গেই ফের জানালেন আঞ্চলিকদললগুলিকে নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গড়বে তৃণমূল। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে ৪২টির আসনের সব কটি পেলে দিল্লিতে সরকার গড়বে তৃণমূলই। মমতার কথা, ‘‘দিল্লির সরকার গড়বে বাংলা। আমাদের সাধারণ মানুষেরা।’’
শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুরের সভায় তিনি দাবি করেন ‘‘অন্ধ্রপ্রেদশে বিজেপি গোল্লা পাবে। কর্ণাটকে অর্ধেক হয়ে যাবে। কেরলেও গোল্লা পাবে বিজেপি। ওড়িশায় গোল্লা, বাংলায় গোল্লা। স্ট্যালিন আমাকে বলেছেন, তামিলনাড়ুর ৩৯ টি আসনের ৩৫-৩৬ টি ওঁরা (ডিএমকে) পাবেন।’’ ৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশ সম্পর্কে মমতার মন্তব্য, ‘‘গতবার বিজেপি ৭৩ টি পেয়েছিল। এবার ১৩ টি আসন পেলে অনেক।’’ এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বিজেপির সরকারটা হবে কোথা থেকে?’’
আঞ্চলিক দলগুলি নিয়ে সরকার গঠনের দাবির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে তাঁর সঙ্গে বিজেপি-বিরোধী দলগুলির সুসম্পর্কের কথাও জানান তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘অসমের সঙ্গে আমাদের ভাব আছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, তেলেঙ্গানা পঞ্জাবের সঙ্গেও আমাদের ভাব রয়েছে।’’
এদিন মমতা প্রথম দুটি সভা করেন বালুরঘাট আসনের দলীয় প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের সমর্থনে। এই আসনে তৃণমূলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি। তাই বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুরের সভায় বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সেখান থেকে তিনি যান বহরমপুরে। এখানে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর সঙ্গেই লড়াই তৃণমূলের। এখানে তিনি বিজেপির সঙ্গেই কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে মিউ মিউ করে। লড়াই করতে পারে না।’’ বিজেপির ‘বিপদ’ ব্যাখ্যা করে মমতার বক্তব্য, ‘‘এবার বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে না পারলে দেশে আর ভোট-ই হবে না। মানুষের কোনও অধিকার থাকবে না।’’
এদিন বিজেপিকে হঠানোর স্লোগান দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলির সরকারের কথা বললেও সে প্রসঙ্গে কংগ্রেসের কথা উল্লেখ করেননি মমতা। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কংগ্রেসকে এড়িয়ে আঞ্চলিক দলের সরকারের কথা বলে এ রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াইয়ে দলের জয় নিশ্চিত করতে চেয়েছেন মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy