বিরোধী এজেন্ট বসতে দেওয়া যাবে না বুথে, দেওয়াল লিখতেও দেওয়া হবে না তাদের— দলের কর্মিসভায় এসে এমনই নির্দেশ দিলেন ভাঙড় ২ ব্লকের ভোগালি পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মোদাচ্ছের হোসেন। বৃহস্পতিবার চিলেতলা গ্রামে ওই সভায় ছিলেন দলের নেতা আরাবুল ইসলাম, নান্নু হোসেন, ওহিদুল ইসলামরাও।
মোদাচ্ছের বলেন, ‘‘কোথাও সিপিএমের দেওয়াল লেখা নেই। লিখতে দেওয়াও হবে না। আমাদের কর্মীরা সে জন্য তৈরি আছেন।’’ ভাঙড় ২ ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে তাঁর এলাকা থেকেই যাদবপুরের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীকে সর্বাধিক লিড দেওয়া হবে বলে তাঁর দাবি। পঞ্চায়েত প্রধানের কথায়, ‘‘সিপিএম-বিজেপির দেওয়াল লেখা তো দূরের কথা, তারা যেন কোনও বুথে এজেন্ট দিতে না পারে, সে দিকেও নজর রাখা হবে।’’ বিজেপির যে কর্মী-সমর্থকেরা এলাকায় আছেন, তাঁরা পদ্মচিহ্নে ভোট দিলে তৃণমূল কর্মীরা পরে তাঁদের ‘বুঝে নেবেন’ বলে শাসানি দেন মোদাচ্ছের। আরও বলেন, ‘‘লুকিয়ে লুকিয়ে বিজেপিতে ভোট দিয়ে রূপশ্রী, কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া চলবে না।’’
দিন কয়েক আগে সরকারি প্রকল্পে চাষিদের চেক বিলির সময়ে হাজির থেকে মোদাচ্ছের উপভোক্তাদের ঘাসফুল চিহ্নে ছাপ দেওয়ার জন্য হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে। দু’টি ঘটনাই নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি। জেলাশাসক তথা রিটার্নিং অফিসার ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
মোদাচ্ছের যখন হুঙ্কার ছাড়ছেন মঞ্চ থেকে, তখন পাশেই বসে আরাবুল। তিনি অবশ্য পরে বলেন, ‘‘এ ধরনের বক্তব্য আমি সমর্থন করি না।’’ মোদাচ্ছেরকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। মেসেজের উত্তরও দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy