Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

মেজাজ হারিয়ে ফেললেন জাটুয়া

বুথ থেকে বেরিয়ে আসার পরে ওই জওয়ান জাটুয়ার সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসেন। বলেন, ‘‘স্যার কিছু মনে করবেন না। বুথের লাইনে ভোটার ছাড়া আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া বারণ। সে কারণেই আপনাকে নিষেধ করা হয়েছে। আপনি লাইন ছাড়াই ঢুকছিলেন।’’

জওয়ানের কথায় বিরক্ত জাটুয়া। ছবি: দিলীপ নস্কর

জওয়ানের কথায় বিরক্ত জাটুয়া। ছবি: দিলীপ নস্কর

শুভাশিস ঘটক ও সমীরণ দাস
শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৯ ০২:৫৮
Share: Save:

কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আচরণে মেজাজ হারালেন মথুরাপুরের তৃণমূল প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া।

রবিবার সকালে বিভিন্ন বুথে ঢুকতে গিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে বাধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। সকাল ১১টা কুলপির সুলতানপুরে ১৭৩ নম্বর বুথে ঢুকতেই এক জওয়ান তাঁর পথ আটকায়। নিজের পরিচয়পত্র দেখানোর পরেও ওই জওয়ান বুথের ভিতরে জাটুয়াকে ঢুকতে বাধা দেন। পরে প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে জাটুয়া বুথে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন।

বুথ থেকে বেরিয়ে আসার পরে ওই জওয়ান জাটুয়ার সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসেন। বলেন, ‘‘স্যার কিছু মনে করবেন না। বুথের লাইনে ভোটার ছাড়া আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া বারণ। সে কারণেই আপনাকে নিষেধ করা হয়েছে। আপনি লাইন ছাড়াই ঢুকছিলেন।’’

জওয়ানের মুখে ওই কথা শুনেই মেজাজ হারান জাটুয়া। বলেন, ‘‘অবাধ ও শান্তির্পূণ ভোট হচ্ছে বটে, কিন্তু জওয়ানেরা অতিসক্রিয় হয়ে পড়েছেন। আমাকেই নানা ভাবে
বাধা দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ভোটারদের কী অবস্থা, তা সহজেই বুঝতে পারছি।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মথুরাপুর কেন্দ্রে সিপিএমের ভোটের কাণ্ডারী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখা গেল, বেলা ১টা নাগাদ রায়দিঘির বাড়িতে বিছানায় শুয়ে। নজর টিভির পর্দায়। সকালে একবার বেরিয়ে নিজের ভোট দিয়ে এসেছেন। বললেন, ‘‘বৃহস্পতিবার মথুরাপুর কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সভা ছিল। ওই সভায় একটা বড় ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সভায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ। আর মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ১০ হাজারের কাছাকাছি।’’

জয়নগরে ভোট মিটেছে বড়সড় গোলমাল ছাড়াই। কয়েকটি বুথে ইভিএমে সমস্যা হয়। কমিশনের তরফে দ্রুত মেশিন বদলে দেওয়া হয়েছে। কোথাও আবার মেশিন বদলানোর পরেও ঠিকমত কাজ না হওয়ায় কিছুক্ষণের জন্য ভোট নেওয়া বন্ধ রাখতে হয়।

কিছু ক্ষেত্রে অশান্তির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সকালের দিকে জালাবেড়িয়া ১ পঞ্চায়েতের একটি বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। দলবল নিয়ে সেখানে পোঁছে যান বিজেপি প্রার্থী অশোক কান্ডারী।
নিজে গিয়ে বুথে বসিয়ে দিয়ে আসেন দলের এজেন্টকে। বুথের আশেপাশে তৃণমূল কর্মীদের জটলা দেখে ডেকে পাঠান কুইক রেসপন্স টিমকে। মেরিগঞ্জ ১ পঞ্চায়েতের কোচিয়ামারা উচ্চ বিদ্যালয়ে কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, কুলতলির বেশ কয়েকটি বুথে
ইভিএম মেশিনে নিজেদের বোতামে কালি লাগিয়ে রেখেছে তৃণমূল। যাতে বোতাম টিপলেই হাতে কালি লেগে যায়। ভোট দিয়ে বেরোনোর পরে সকলের আঙুল পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

তবে কোনও ক্ষেত্রেই কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়নি বিজেপি। আরএসপি প্রার্থী সুভাষ নস্কর বলেন, ‘‘তৃণমূল কিছু জায়গায় হয় তো গা-জোয়ারি করেছে। তবে মোটের উপরে মানুষ নিজের ভোট দিতে পেরেছেন।’’

তৃণমূল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, কয়েকটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE