—ফাইল চিত্র।
নির্বাচন কমিশন তাঁকে শো কজ করেছিল। এ বার সুপ্রিম কোর্ট বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহাদেব সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের এই নির্দেশকে তৃণমূল তাদের নৈতিক জয় হিসেবে দেখছে। এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে রাজি হননি বিজেপি নেতৃত্বে।
গত ২২ এপ্রিল কৃষ্ণনগরের কলেজের মাঠে জনসভা করতে এসেছিলেন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। সেই মঞ্চে বক্তৃতা করার সময় মহাদেব সরকার কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও অশালীন মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এতে জনসমক্ষে মহুয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
ওই দিন সভামঞ্চে বক্তৃতায় মহাদেব সরকার বলেন, ‘‘মহুয়া মৈত্র বিদেশে পড়াশুনো করেছেন। তিনি বাংলার সংস্কৃতি ভুলে গিয়েছেন। তিনি রাতে রঙিন পানীয় খান।’’ বিষয়টি জানার পরে কোতোয়ালি থানায় মহাদেব সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেন মহুয়া
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন মহাদেব সরকারকে শো-কজ করে। বুধবার তিনি সেই শো-কজের উত্তরও দেন। কিন্তু মহুয়া এখানেই থেমে থাকেননি। তিনি বুধবার
সুপ্রিম কোর্টে মহাদেব সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি আবেদন করেন, যাতে মহাদেব সরকার প্রচার করতে না পারেন।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। মহুয়া বলেন, “ওদের দলের লোক জন নাকি অভিশাপ দিলেই মানুষ মারা যায়। আমাদের এমন কোনও ক্ষমতা নেই। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।
আমরা তাই আইনের পথে হেঁটেছি।” আরও বলেন, “আদালতের রায়ে আমরা খুশি। বিজেপি কোন সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী মানুষ এ বার বুঝতে পারছেন।” আর মহাদেব সরকারের কথায়, “আদালতের নির্দেশ হাতে না-পাওয়া পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy