Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
আবির খেললেন আরামবাগের বিজেপি প্রার্থী

জগন্নাথ বাড়িতে দেবজিৎ, লকেট হংসেশ্বরী মন্দিরে

সাংবাদিকদের প্রশ্নে লকেট বলেন, ‘‘ভোটের রাজনীতি করতে সিঙ্গুর আন্দোলনে কৃষকদের কাজে লাগানো হল। আজ তাঁদের খোঁজ কেউ নিচ্ছে না। জেলায় একের পর এক কারখানা বন্ধ।’’

হংসেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছেন লকেট। —নিজস্ব চিত্র

হংসেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছেন লকেট। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯ ০১:৪০
Share: Save:

নাম ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার ময়দানে নেমে পড়লেন হুগলির তিন লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীরা।

হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের রত্না দে নাগের বিপক্ষে বিজেপির বাজি দলের মহিলা মোর্চার সভাপতি লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রচারে নেমেই তিনি হংসেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিলে‌ন। অভিনেত্রী-প্রার্থীকে দেখতে মন্দির চত্বরে ভিড় জমে যায়। পুজো সেরে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন লকেট। চুঁচুড়ায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়েও একপ্রস্থ আলোচনা সারেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে লকেট বলেন, ‘‘ভোটের রাজনীতি করতে সিঙ্গুর আন্দোলনে কৃষকদের কাজে লাগানো হল। আজ তাঁদের খোঁজ কেউ নিচ্ছে না। জেলায় একের পর এক কারখানা বন্ধ।’’ গত লোকসভা নির্বাচনে এখানে বিজেপি প্রার্থী চন্দন মিত্র তৃতীয় স্থানে ছিলেন।

শ্রীরামপুরে গত বার বিজেপি প্রার্থী ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। তাঁকেও তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছি‌ল। এ বারেও এখানে বিজেপি ‘চমক’ দেবে বলে শোনা যাচ্ছিল। ভোটের বাতাসে একাধিক নাম ভেসেছে। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি, পেশায় আইনজীবী দেবজিৎ সরকার। তিনি এ দিন মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেন। প্রচার নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

দু’বারের সাংসদ, পোড়খাওয়া তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কতটা বেগ দিতে পারবেন বিজেপি প্রার্থী? দেবজিতের জবাব, ‘‘তৃণমূলের শাসন হাড়ে হাড়ে সবাই টের পাচ্ছেন। রাফাল নিয়ে কল্যাণবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন। হুগলিতে তিনটি বড় জুটমিলে তালা ঝুলে গেল। সেগুলো কবে খুলবে? জেলার বন্ধ কল-কারখানা নিয়ে সাংসদ গত দশ বছরে একটা কথাও লোকসভায় বলেননি। এর জবাব মানুষই ভোটের বাক্সে দেবেন।’’

প্রচারে: মাহেশে দেবজিৎ। —নিজস্ব চিত্র

দেবজিতের সঙ্গে ছিলেন দলের শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুমন ঘোষ। শ্রীরামপুর শহরের বাসিন্দা, দলের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্যকে অবশ্য দেখা যায়নি।

দেবজিৎ বা লকেট হুগলিতে থাকেন না। আরামবাগের বিজেপি প্রার্থী তপন রায় অবশ্য গোঘাটের কামারপুকুরের বাসিন্দা। বাংলায় এমএ পাশ মানুষটি স্কুলশিক্ষক। এ দিন তিনি আরামবাগের দৌলতপুরে দ‌লীয় কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে আবির খেলেন, মিছিল করেন।

আামবাগের দৌলতপুরে আবির মেখে তপন রায়। —নিজস্ব চিত্র

তপনবাবু জানান, কাল, রবিবার থেকে পুরোদমে প্রচারে নামবেন। গত লোকসভা ভোটে বিজেপির মধুসূদন বাগ এখানে দাঁত ফোঁটাতে পারেননি। তপনবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘এ বার আমরাই জিতব। একশো ভাগ নিশ্চিত।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE