রাজ্য পুলিশকেও ভোটের দিন সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে বললেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।
সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট রবিবার। আগামিকাল এ রাজ্যের ৯ কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় গোলমালের আশঙ্কায় কড়া পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। এক দিকে এ রাজ্যের ৯ কেন্দ্রে গোলমাল রুখতে ১০০ শতাংশ বুথেই যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে, তেমনই কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)-কে ৫-৭ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দিলেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের কাশীপুর, বেলগাছিয়া, বেলেঘাটা, এন্টালিতে ঝামেলার আশঙ্কা রয়েছে। দমদম কেন্দ্রের বরাহনগর, রাজারহাট-গোপালপুরে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। যাদবপুরের ভাঙড়, বারুইপুরেও গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে। বসিরহাট কেন্দ্রেটি সব থেকে উত্তেজনাপ্রবণ বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে হাড়োয়া, বাদুড়িয়াতে গোলমালের সম্ভাবনা রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে মেটিয়াবুরুজ, মহেশতলা, বজবজের দিকেও ঝামেলার আশঙ্কা। ভোটের এক দিন আগেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে জয়নগর কেন্দ্রে। ক্যানিং, গোসাবাতে গোলমালের সম্ভাবনা রয়েছে।
সপ্তম দফায় কমিশন নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ যাতে না ওঠে, সে কারণেই সব বুথেই জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে। কিন্তু গত ছ’দফা নির্বাচনে কিউআরটি-এর ভূমিকায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি বিরোধীরা। এ নিয়ে তাঁরা নির্বাচন কমিশনে নালিশও ঠুকেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের দিনে কিউআরটি-র দেখাই মেলে না। গোলমালের ঘটনার অনেক পরে পৌঁছচ্ছে কুইক রেসপন্স টিম। ফলে হিংসার ঘটনা আটকানো যাচ্ছে না। ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন ভোটাররা।
আরও পড়ুন: ‘খবর পেয়েছি, বুথে আমাকে হেনস্থা করবে রত্না’, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চাইলেন শোভন
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী দফতর সূত্রে খবর, ৯ কেন্দ্রের ১৭ হাজার ৫৮টি বুথে মোট ৭১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। তার ফলে ১০০ শতাংশ বুথে জওয়ান থাকবে। কুইক রেসপন্স টিম-এর সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৬১ করা হয়েছে। প্রতিটি দলের নিয়ন্ত্রণ থাকবে এক জন সহকারী কমান্ডেন্টের হাতে। রাস্তা চেনানোর জন্য ওই টিমে থাকবেন রাজ্য পুলিশের এক জন কনস্টেবলও। যে কোনও উপায়ে হোক, গোলমালের জায়গায় ৭ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ গিয়েছে। ঘটনাস্থল দূরে হলে ১৫ মিনিটের বেশি সময় নেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: সিবিআই এ বার কী করবে! রাজীবকে নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা
ষষ্ট দফায় কিউআরটি-তে রাজ্যের কোনও পুলিশকর্মী ছিলেন না। রাস্তা না-চেনা, স্থানীয় ভাষা না-জানার কারণে সঠিক সময় পৌঁছতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। তা নিয়ে যেমন বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল কমিশনকে, তেমনই রাজ্য সরকারের তরফেও নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার কিউআরটি-তে রাজ্যের পুলিশকর্মীকে রাখা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ এলাকায় ১৭৮টি কিউআরটি নজরদারি চালাবে। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত ফ্লাইং স্কোয়াড, রেসপন্স টিম থাকবে।
ভোট কেন্দ্র থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত যাতে না হয় সে দিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না হয়, সে কারণে দাগী দুষ্কৃতীদের শনিবারের মধ্যে গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে। রাজ্য পুলিশকেও ভোটের দিন সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে বলেছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। শেষ বেলায় রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েকেরও দাবি, ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy