Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
State News

উন্নয়ন কি ঢাকতে পেরেছে বাগান-বনবস্তির কাজের হাহাকার?

পরিসংখ্যান বলে, জেলা ভাগের পর আলিপুরদুয়ারেই রয়েছে ৬৩টি বাগান। বাইরে থেকে যা মখমলের মতো মসৃণ, বাগিচা পেরিয়ে বাগান শ্রমিকদের বস্তিতে গেলেই ততটাই কর্কশ।

সিজার মণ্ডল
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৩০
Share: Save:

বক্সা টাইগার রিজার্ভের কোর এলাকার জয়ন্তী বন বসতির দু’হাজারের বেশি বাসিন্দা এক বাক্যে স্বীকার করলেন, ‘দিদি কথা রেখেছিলেন’। চার বছর আগের এক সেপ্টেম্বর মাসের সকালে হঠাৎই বস্তির বাসিন্দা অজয় শর্মার বাড়ির বারান্দার সামনের কাঠের ভাঙা সিড়িতে এসে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদি কথা রাখলেও পাঁচ বছর পর রাজনৈতিক ছবিটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বাগান-বনবস্তিতে।

পরিসংখ্যান বলে, জেলা ভাগের পর আলিপুরদুয়ারেই রয়েছে ৬৩টি বাগান। বাইরে থেকে যা মখমলের মতো মসৃণ, বাগিচা পেরিয়ে বাগান শ্রমিকদের বস্তিতে গেলেই ততটাই কর্কশ। ন্যূনতম মজুরি ২৫০ টাকা করার দীর্ঘ দিনের দাবি রয়ে গিয়েছে ঠান্ডাঘরেই। মাত্র ১৭৬ টাকা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় চা-শ্রমিকদের। পরিসংখ্যান বলে, ৬৩টির মধ্যে বন্ধ পাঁচটি। রুগ্ন ২০টি বাগান। ২০১৩ সাল থেকে বন্ধ বান্দাপানি চা-বাগান। সেখানে শ্রমিকদের পানীয় জলের জন্যও নির্ভর করতে হয় পড়শি দেশ ভুটানের উপর।

বাগান-বনবস্তির এই ক্ষোভই এই নির্বাচনে বিজেপির হাত শক্ত করতে পারে। বিজেপি প্রার্থী জন বার্লার দাবি, নাগরাকাটা, মাদারিহাট, কালচিনি, কুমারগ্রাম বিধানসভায় যেখানে চা-শ্রমিক এবং জনজাতির মানুষ সিংহ ভাগ, সেখানে তিনিই ভোট পাবেন। সেই সঙ্গে তাঁর ঝুলিতে আসবে ওই এলাকার গোর্খা ভোটও। কারণ এখানেও বিমল গুরুঙ্গের ছায়া লম্বা। এক দিকে তিনি বিমলের বন্ধু, অন্য দিকে বিমল এখন বিজেপির সঙ্গে। সব মিলিয়ে ওই চার বিধানসভায় ভাল ভাবে এগিয়ে যেতে পারলেই তাঁর আর চিন্তা নেই।

অন্য দিকে তৃণমূলের হাতের তাস তুফানগঞ্জ, ফালাকাটা এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র, যেখানে জনজাতি ভোট কম। সমীকরণ পরিষ্কার। জিততে হলে ওই তিন বিধানসভা থেকে লিড নিতে হবে তৃণমূল প্রার্থী দশরথ তিরকেকে। সব মিলিয়ে এ বার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আরও পড়ুন: বাংলাই এ বার দিল্লি গড়বে, মাথাভাঙার জনসভা থেকে ডাক মমতার

(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেবাংলায় খবরজানতে পড়ুন আমাদেররাজ্যবিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE