Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

দুধকুমারের ‘উত্তরণ’ নিয়ে চর্চা জেলা জুড়ে

বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দুধকুমার মণ্ডলের নাম ঘোষণার পর থেকেই এই ‘উত্তরণ’ নিয়ে দল ও দলের বাইরে সেই চর্চাই ছড়িয়েছে।

বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল। —ফাইল চিত্র

বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩০
Share: Save:

পঞ্চায়েত সদস্য থেকে একেবারে লোকসভার প্রার্থী।

বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দুধকুমার মণ্ডলের নাম ঘোষণার পর থেকেই এই ‘উত্তরণ’ নিয়ে দল ও দলের বাইরে সেই চর্চাই ছড়িয়েছে।

দলের অন্দরমহলের খবর, এক সময় দলে দুধকুমারের দাপট ছিল। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ‘মনোমালিন্যের’ জেরে দীর্ঘদিন তিনি কার্যত রাজনৈতিক সন্ন্যাসে ছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে রামপুরহাটের প্রার্থী মনোনীত হয়ে ফের দলের কাজে ফিরলেও জেলা কমিটির সদস্যদের মধ্যে তিনি জায়গা পাননি। দলের নেতাদের একাংশের বক্তব্য, বিজেপির জেলায় ক্ষমতাসীন বা পদাধিকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে খুব মসৃণ নয়, তা দলের জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের সঙ্গে বিরোধে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে।

গত বার বিধানসভা ভোটে রামপুরহাটে প্রার্থী হলেও শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়েছিলেন দুধকুমার। পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর প্রাপ্তি বলতে ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণবহড়ায় পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে জয়। সেটাই পুঁজি করে পরপর দু’বারের শাসকদলের সাংসদ শতাব্দী রায়ের বিপক্ষে কী ভাবে জিতবেন, তাঁর রণকৌশলই বা কী হবে— তা নিয়ে আলোচনা চলছে। দুধকুমার অবশ্য আশাবাদী, তিনিই জয়ী হবেন।

দুধকুমারের অনুগামীদের একাংশের মতে, রাতারাতি জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে রাজ্য রাজনীতিতেও আলোচিত হয়েছিল বীরভূমের ওই বিজেপি নেতার নাম। ক্রমবর্ধমান এই জনপ্রিয়তা রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে ‘দুধদার’ সংঘাত অনিবার্য করে তোলে। সেই সময় বিশেষত তৎকালীন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের সঙ্গে তাঁর ‘সংঘাত’ শুরু হয়। গত পুরভোটে প্রার্থী তালিকা তৈরিতে গুরুত্ব কমে দুধকুমারের। প্রকাশ্যেই রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দুধকুমার। জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফাও দেন।

দুধকুমার ঘনিষ্ঠ নেতাদের কয়েক জনের বক্তব্য, দলীয় নেতৃত্ব দুধকুমারের প্রশংসা করলেও সংগঠনে পদ না দেওয়ায় ‘হতাশা’ থেকেই পরে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়েছিলেন তিনি। সেই নেতাকেই এ বার লোকসভা ভোটে প্রার্থী করায় স্বাভাবিক ভাবেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। দুধকুমার অনুগামীরা বলছেন, ‘‘দাদার ক্যারিশমা ছিল, থাকবে।’’ দুধকুমার বলছেন, ‘‘আমাকে প্রার্থী করায় দলের কাছে কৃতজ্ঞ ও গর্বিত। শতাব্দীকে নয়, আমাকেই ভোট দেবেন মানুষ।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE