Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ইদ্রিশের জন্যই ঝাঁপাবেন, সুর বদল বিক্ষুব্ধদের

ইদ্রিশ আলিকে নিয়ে শুক্রবারই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল।

ইদ্রিশ আলিকে নিয়ে শুক্রবারই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। —ফাইল চিত্র।

ইদ্রিশ আলিকে নিয়ে শুক্রবারই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ০৭:২২
Share: Save:

ইদ্রিশ-বিরোধিতা থেকে রণে ভঙ্গ দিলেন উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাকর্মীরা। ফলে, ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে পূর্ণ শক্তিতেই তাঁরা নামতে চলেছেন বলে জানিয়ে দিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

ইদ্রিশ আলিকে নিয়ে শুক্রবারই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। তাঁকে মেনে নিতে রাজি হননি ওই কেন্দ্রের তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। প্রার্থীকে নিয়ে সে দিন যখন উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূলের উদ্যোগে প্রথম কর্মিসভা হয়, তার কিছুক্ষণ পরেই উলুবেড়িয়া কলেজের কাছে পাল্টা সমাবেশ করেন বিক্ষুব্ধেরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন উলুবেড়িয়া পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান আব্বাসউদ্দিন খানও। কিন্তু শনিবার তাঁরা জানিয়ে দিলেন, ইদ্রিশের হয়ে লড়াই করতে তাঁরা ঝাঁপাবেন। আব্বাসউদ্দিন বলেন, ‘‘আমাদের কিছু দাবি ছিল। দলের তরফে তা মেনে নেওয়া হয়েছে। জেতার পরে প্রার্থী এখানে নিয়মিত থাকবেন। নির্বাচন কমিটিও গড়া হয়েছে। আমাদের আর ক্ষোভ নেই।’’

তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেই এ যাত্রায় সমস্যা মিটল। জট কাটাতে আসরে নামেন দলের হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি তথা উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায়। শনিবার তিনি সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। তাতেই সমস্যার সমাধান হয় বলে পুলকবাবুর দাবি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সবাই তৃণমূলের সৈনিক। নিজেদের মধ্যে বিভেদ দেখা দিলে শত্রুপক্ষ তার সুযোগ নেবে। বিক্ষুব্ধেরা এটা বুঝেছেন। ঐক্যবদ্ধ ভাবে ইদ্রিশের হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ইদ্রিশ ‘বহিরাগত’ বলে প্রথমে আপত্তি তুলেছিলেন আব্বাসউদ্দিনরা। যাঁর মৃত্যুতে এই কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হচ্ছে, সেই হায়দর আজিজ সফিও ‘বহিরাগত’ ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল বিক্ষুব্ধদের। তাঁরা দাবি করেছিলেন, সফি ‘বহিরাগত’ ছিলেন বলে এলাকার মানুষের সমস্যা হয়েছিল। বিধায়কের শংসাপত্র পেতে তাঁরা জেরবার হতেন। এ বার ইদ্রিশ প্রার্থী হওয়ায় একই সমস্যা হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। এই কেন্দ্রে স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করার দাবিও উঠেছিল। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ইদ্রিশকেই বেছে নেন।

এর পরেই শুক্রবার ইদ্রিশের কর্মসভার পাল্টা সমাবেশ করেন আব্বাসউদ্দিনরা। সেখানে উলুবেড়িয়া পুরসভার কাউন্সিলর ইনামুর রহমান দু’টি দাবি তোলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি গড়ে ভোট পরিচালনা এবং প্রার্থীকে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন উলুবেড়িয়ায় বসতে হবে। ইদ্রিশ অবশ্য বলেছিলেন, ‘‘এলাকার নেতাদের বলেছি, আমার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করতে। প্রয়োজন হলে সপরিবারে এখানে থাকব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE