Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফের হুমকি অনুব্রতের, তবে বাহিনী বাড়ছে বঙ্গে

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমরা স্যালুট জানাই। কিন্তু ওঁরা যদি বুথে বিজেপিকে ভোট দিতে বলেন, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেবেন। জেলাশাসককে বলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গ্রেফতার করিয়ে দেবেন। কারণ বুথের ভিতরে ওঁদের কোনও এক্তিয়ার নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৪৮
Share: Save:

চতুর্থ দফার ভোটে ৯৯% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ওই দফায় ভোট হবে বীরভূমে। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে ফের সরব হলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার তারাপীঠে তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে পরামর্শ দেন, ‘দরকার হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গ্রেফতার করিয়ে দিন।’

এ দিন দলের প্রচারে অনুব্রত বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমরা স্যালুট জানাই। কিন্তু ওঁরা যদি বুথে বিজেপিকে ভোট দিতে বলেন, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেবেন। জেলাশাসককে বলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গ্রেফতার করিয়ে দেবেন। কারণ বুথের ভিতরে ওঁদের কোনও এক্তিয়ার নেই। সাংবাদিকেরা বুথের ভিতরে ছবি তুলবেন, কিন্তু প্রশ্ন করার অধিকার নেই।’’ এটা প্রিসাইডিং অফিসারদের মনে করে দেওয়ার জন্যও কর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।

এ দিনই জেলার সিউড়িতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় ভি নায়েক জানান, ভোটের দিনে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জেলার বিরোধী শিবির। গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলার প্রায় ৮৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল শাসক দল। তৃণমূলের বাধায় বহু ক্ষেত্রে মনোনয়ন জমা দেওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধী শিবির। তা ছাড়া গত বিধানসভা, লোকসভা ভোটেও শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করা, হুমকি-সহ নানান অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। বিশেষ পর্যবেক্ষক অবশ্য নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বীরভূম পুলিশ এবং প্রশাসনকে শংসাপত্র দিয়ে বলেছেন, “পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট।’’

এ দিন বিকেলে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা), এডিজি (এপি), বিএসএফ-সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আরিজ আফতাব। সেখানেই বাহিনী নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার বাহিনী মোতায়েনের রূপরেখায় সিলমোহর দিতে পারে কমিশন।

মঙ্গলবার রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল ৫৫২ কোম্পানি। বুধবার আরও সাত কোম্পানি এসেছে। সব মিলিয়ে ৫৫৯ কোম্পানি বাহিনী ব্যবহার করা হবে চতুর্থ দফার ভোটে। তাতে ৯৯% বুথকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন কমিশনের কর্তারা। পঞ্চম দফার ভোট থেকে ১০০% বুথকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার আওতায় আনার কথা ভাবা হয়েছে। তার জন্য প্রয়োজনে আরও বাহিনী রাজ্যে আনতে পারে কমিশন।

২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফায় বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, আসানসোল, বীরভূম, বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং বোলপুর কেন্দ্রে ভোট হবে। ৬ মে পঞ্চম দফায় বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি এবং আরামবাগ কেন্দ্রে ভোট হবে। ষষ্ঠ দফায় ১২ মে ভোট হবে তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বিষ্ণুপুর আসনে। যে-হেতু ওই দফায় জঙ্গলমহলের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় ভোট হবে, তাই সেখানেও ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে চাইছে কমিশন। ১৯ মে সপ্তম দফার নির্বাচনে দমদম, বারাসত, বরিসহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর, যাদবপুর এবং ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে ভোট হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Anubrata Mandal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE