Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

মনোনয়ন জমা দিলেন অর্জুন 

১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূলের টিকিটে কখনও লোকসভা কখনও বিধানসভা, কখনও পুরসভা ভোটে লড়েছেন তিনি। সেই তিনি এ বার অন্য দলে লড়ছেন।

মনোনয়ন জমা দিলেন অর্জুন সিংহ। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

মনোনয়ন জমা দিলেন অর্জুন সিংহ। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:২২
Share: Save:

তিনি অর্জুন। ফলে ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে লক্ষ্যভেদ তিনি করবেনই। বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নিজেই এ কথা বললেন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ।

তিনি বলেন, ‘‘মানুষ ভূমিপুত্রকে চাইছে। ফলে আমার জয় নিশ্চিত।’’ এ দিন তিনি তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীকে ‘বহিরাগত’ বলে কটাক্ষও করেন।

ক’দিন আগেও তিনি ছিলেন ব্যারাকপুরে তৃণমূলের অন্যতম কান্ডারী। গত বছর নোয়াপাড়া উপনির্বাচনেও কার্যত একার দায়িত্বে ভোট করেছেন তিনি। পুরো শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক ইউনিয়নগুলিতেও প্রায় একচ্ছত্র কর্তৃত্ব ছিল বাহুবলী ওই নেতার। মাসখানেক আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে টিকিট পেয়ে গিয়েছেন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূলের টিকিটে কখনও লোকসভা কখনও বিধানসভা, কখনও পুরসভা ভোটে লড়েছেন তিনি। সেই তিনি এ বার অন্য দলে লড়ছেন। এ নিয়ে অবশ্য তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া নেই অর্জুনের। তিনি বলেন, ‘‘ওই দলটা আর করা যাচ্ছিল না। নীতিহীন লোকে ভরে গিয়েছে দলটায়। ফলে নতুন প্রতীক আমাকে রাজনৈতিক অক্সিজেন যুগিয়েছে।’’

গত লোকসভা ভোটে মনোনয়নপত্র দাখিলে অর্জুন ছিলেন অন্যতম ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর অন্যতম সেনাপতি। আর এ বার অর্জুনের সঙ্গে আছে বিজেপির বাহিনী। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিজেপির প্রচুর সমর্থক এ দিন বারাসতে জেলাশাসকের অফিসে ভিড় করেন।

অর্জুন নিজে আসেন হুড খোলা গাড়িতে। কর্মী-সমর্থকেরা বিজেপির পাশাপাশি অর্জুন সিংহের নামেও জয়ধ্বনি দেন। দিন কয়েক আগে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে দীনেশ নাম না করে অর্জুনকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘ভোট দেওয়ার সময় মানুষ প্রার্থীর ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ দেখে। ব্যারাকপুরের মানুষও নিশ্চয় তা দেখবেন। তা দেখেই তাঁরা যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন।’’

এ দিন সেই প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, ‘‘যিনি এ কথা বলেছেন, তাঁকে বলতে চাই, ওনার থেকে আমার ব্যাকগ্রাউন্ড অনেক ভাল। মানুষ সব সময় আমাকে পাশে পেয়েছে। আগামী দিনেও পাবে। জন প্রতিনিধির কাছে ভোটাররা তাই চান। আমি ভূমিপুত্র। আর উনি হলেন আকাশপুত্র। আকাশেই ওনার অবস্থান।’’

অর্জুনের মতে শুধু ব্যারাকপুর থেকেই নয়, সারা বাংলা থেকে মানুষ এ বার তৃণমূলকে বিদায় করে দেবে। রাজ্যে বিজেপি মোট ৩০টি আসন পাবে। কেন তিনি তৃণমূল ছাড়লেন, সেই প্রশ্নের মুখে এ দিনও পড়তে হল তাঁকে। যদিও সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।

তবে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল প্রার্থী এ বার এমনিতেই হারতেন। আর তিনি হারলে তার দায় এসে পড়ত তাঁর ঘাড়ে। সে জন্যই তিনি দলবদলে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। কারণ এলাকার ভোটাররা বিজেপিকেই চাইছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE