—ফাইল চিত্র।
এর আগে পাতেলাবাস থেকে একাধিক নির্বাচন সামলেছেন বিমল গুরুং। দলের ভোট পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছুটে গিয়েছেন পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তে। এ বার ভোটের আগে সম্ভবত আর পাহাড়ে ফিরতে পারছেন না তিনি। মঙ্গলবার আদালতের রায়ে তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে। সে কথা প্রচার হতেই পাহাড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। প্রকাশ না করলেও বিমলের ফিরতে না পারার খবরে খানিকটা হলেও স্বস্থিতে বিনয় তামাং ও তৃণমূল শিবির। অন্য দিকে বিমলপন্থীরা এখনও জোরের সঙ্গে প্রচার করছেন আইনি জটিলতা কাটিয়ে শীঘ্রই পাহাড়ে ফিরবেন বিমল।
এ দিন শিমুলবাড়ির সভায় বিমলপন্থী মোর্চার কার্যকরী সভাপতি লোপসাং লামা বলেন, ‘‘আমরা আইনে বিশ্বাস রাখি। আমাদের সভাপতির বিরুদ্ধে যে সব মিথ্যা মামলা করা হয়েছে সেগুলি থেকে তিনি দ্রুত নিষ্কৃতি পাবেন। রাজ্য পুলিশ বিভিন্ন ভাবে আইনি জটিলতা তৈরি করছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি তিনি পাহাড়ে ফিরবেন।’’ যদিও বিমলকে পাত্তা দিতে নারাজ বিনয়। তিনি বলেন, ‘‘বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে প্রচুর প্রমাণপত্র পুলিশ, সিআইডির কাছে আছে। উনি কোনও ভাবেই ছাড়া পাবেন না। তা ছাড়া, তিনি যদি পাহাড়ে ফিরেও আসেন, তাতে আমাদের কিছু এসে যায় না। তাঁনাকে পাহাড়ের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।’’ বিনয় বলছে ঠিকই তবে তাঁর অনুগামী এক নেতার বক্তব্য, ‘‘বিমল ফিরলেই বাড়িতে বসে থাকা অনেক নেতা, কর্মী ফের রাস্তায় নামতে পারে। সেটা পাহাড়ের অন্য সব দলের জন্য চিন্তার।’’
যদিও জাপের সভাপতি হরকা বাহাদুর ছেত্রীর মতে পাহাড়ে বিমলের আর কোন প্রভাব নেই। তাঁর ফেরা না ফেরা নিয়ে পাহাড়ের মানুষের আর মাথাব্যথা নেই। তৃণমূলের পাহাড় কমিটির সভাপতি এলবি রাইও হরকার সুরে সুর মিলিয়েছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সাধারণ মানুষদের মধ্যে অবশ্য বিমলকে নিয়ে উৎসাহ রয়েছে। মিরিকের গাড়ি চালক প্রভাত বিশ্বকর্মার বক্তব্য, ‘‘বিমল ফিরলেই পাহাড়ের আসল রূপ বোঝা যাবে। তখন অনেকেই আবার দলবদল করবে।’’ রংটংয়ের দোকানদার অঞ্জু তামাং বলেন, ‘‘বিমল ফিরলে কী হয় সেটা আমরাও দেখে চাই। তবে নতুন করে পাহাড় অশান্ত হোক সেটা চাই না কোনও ভাবেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy