মোদীর জন্য এই মাঠ চেয়েই পায়নি বিজেপি। নিজস্ব চিত্র
আসছেন প্রধানমন্ত্রী। আসছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতিও। কিন্তু, দু’জনের জনসভার জন্য মাঠ খুঁজে পাওয়াটাই বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ হয়ে উঠেছে বীরভূম জেলা বিজেপি নেতাদের কাছে।
২৪ এপ্রিল বোলপুরে সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু, তাঁর সভার জন্য জেলা পরিষদের যে জায়গা বিজেপি বেছেছিল, বোলপুর শহরের সেই ডাকবাংলো মাঠ ইতিমধ্যই ‘বুক’ করে ফেলেছে সিপিএম। তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের থাকা ওই মাঠে ২৪ তারিখই সভা করবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বিজেপি-র দাবি, এ সব তাদের মাঠ না দেওয়ার ছল। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদার যদিও দাবি, মার্চেই রাজ্য সম্পাদকের সভার দিন স্থির হয়েছে। তার পরেই অনুমতি নেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরীও বলেন, ‘‘অনেক আগেই সিপিএম বোলপুরের ওই মাঠ চেয়ে আবেদন করেছিল, তাই জেলা পরিষদ তাদেরকে মাঠ দিয়েছে।’’
অন্য দিকে, মোদীর প্রস্তাবিত জনসভার দু’দিন আগে, ২২ এপ্রিল অমিত শাহের সভা সিউড়িতে। তার জন্য মঙ্গলবারই সিউড়িতে জেলা পুলিশের চাঁদমারি প্যারেড গ্রাউন্ডের জন্য আবেদন করেছে বিজেপি। এ ক্ষেত্রেও তাদের নিরাশ হতে হয়েছে। ২১-২৫ তারিখ পর্যন্ত ওই মাঠ শাসকদল নিয়ে রেখেছে বলে পুলিশের তরফে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই মাঠেই ২৫ তারিখ সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কোন পক্ষকে মাঠ দেওয়া হয়েছে সেটা স্পষ্ট করেননি বীরভূমের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ। তিনি শুধু জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট দিনে মাঠ পাওয়া যাবে কিনা, দু’টি রাজনৈতিক দলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিন বিজেপি নেতারা পুলিশ সুপারের অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে পরেই সেখানে ঢোকেন তৃণমূলের সিউড়ি শহর সভাপতি অভিজিৎ মজুমদার। তাঁর দাবি, মাঠের জন্য আবেদন করা হয়েছে ১২ এপ্রিল। এ দিন তাঁরা গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড সংক্রান্ত কথা বলতে। যদিও জেলা বিজেপি সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী কবে আসবেন, সেটাই তো সোমবার জানাজানি হল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘২১ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত চাঁদমারি মাঠ তৃণমূল চেয়ে রেখেছে। গোটাটাই ষড়যন্ত্র! আমাদের যে কোনও কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেতেই কাঠখড় পোড়াতে হয়। এখন পুলিশ-প্রসাসন নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকলেও শাসকদলের কলকাঠি নাড়া চলছেই।’’
পছন্দের মাঠ না পেলে বিকল্প কী, তা নিয়েই অলোচনা চলছে বিজেপি-তে। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বোলপুরের বদলে ইলামবাজারের দিকে কোনও মাঠে করা যায় কিনা, ভাবনাচিন্তা চলছে তা নিয়েও। চলতি জানুয়ারিতেই অমিত শাহের সভার জমি খুঁজে পেতে কালঘাম ছুটেছিল দলের। শেষ পর্যন্ত দলেরই নেতা কালোসোনা মণ্ডলের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন চাষজমিকে বেছে নেওয়া হয়। এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘একান্তই মাঠ না মিললে আবার ওই পথে হাঁটতে হবে।’’ সিপিএম নেতা মনসাবাবুর কটাক্ষ, ‘‘আগে মাঠ প্রস্তুত করা দরকার। তার পর জনসভার দিন ঠিক করা দরকার। এ ভাবে মাঠ ঠিক না করে, সভার দিন ঠিক করা উচিত নয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy