ভোটের আগে দাসপুরের বাড়িতে ভারতী ঘোষ। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।
গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের রেশ এখনও থিতোয়নি। ফের নয়া বিতর্কে ভারতী ঘোষ। এ বার বহিরাগত-কাণ্ড।
সপ্তাহখানেক আগেই ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী কেশপুরে গিয়ে উত্তরপ্রদেশ থেকে লোক এনে তৃণমূলের লোকেদের মারার হুমকি দিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে দাসপুরে সেই বহিরাগত কাঁটাতেই বিদ্ধ হলেন ভারতী। দাসপুর থানার অস্তলে এক মঠের ভিতরে বিজেপি বহিরাগতদের জড়ো করেছে বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। বহিরাগতদের গ্রেফতারের দাবিতে মঠের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটও শুরু হয়।
আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে উভয় পক্ষের আটজন অল্পবিস্তর জখম হন। দু’জনকে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। পুলিশ পৌঁছয়। খবর পেয়ে পিংলা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ভারতীও। এরপরই উত্তেজনার পারদ চড়ে। ভারতী ও তাঁর সঙ্গী বিজেপি নেতাদের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বেশ কিছু নকল ইভিএম, শাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। রাত বারোটা পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা ছিল। পরে মঠের ভিতরে থাকা ৩৮জন বিজেপি কর্মীকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “পুলিশ কয়েক জনকে আটক করেছিল। পরে অবশ্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির অভিযোগ, “উনি (ভারতী) প্রকাশ্যেই বহিরাগত আনার হুমকি দিয়েছিলেন। সেটাই হচ্ছে।” যদিও ভারতীর বক্তব্য, “মনগড়া অভিযোগ তুলে ধারাবহিক ভাবে আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। এখন আবার দলের নেতা-কর্মীদেরই বহিরাগত বলা হচ্ছে।”
গভীর রাতে ভারতীর গাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা বাজেয়াপ্তের ঘটনায় অবশ্য শনিবার পর্যন্ত কোনও জোরাল পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে পিংলার মণ্ডলবাড়ের ওই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা, হুমকি-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ভারতীর বিরুদ্ধে। তবে সেই মামলা নিয়ে বিশেষ নাড়াচাড়া হয়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভোটের মধ্যে এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে না। তবে তদন্তের স্বার্থে ভারতীকে ডাকা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভারতী অসহযোগিতা করলে পদক্ষেপ করা হবে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তার তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে পদক্ষেপ
করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy