Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

ভারতীর নাগাল পেল না সিআইডি

শনিবার এই ঘটনার জেরে সোনা প্রতারণা মামলায় ভারতী ঘোষকে আর জিজ্ঞাসাবাদই করতে পারল না সিআইডি। সে কথা জানিয়ে দাসপুর থানায় ভারতীর বিরুদ্ধে জেনারেল ডায়েরিও (জিডি) করেছে সিআইডি।

ভারতী ঘোষের বাড়ির সামনে পাহারা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

ভারতী ঘোষের বাড়ির সামনে পাহারা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৫০
Share: Save:

তাঁর বাড়ির দোরগোড়ায় হাজির সিআইডি। আর তিনি দিনভর ব্যস্ত ভোট প্রচারে।

শনিবার এই ঘটনার জেরে সোনা প্রতারণা মামলায় ভারতী ঘোষকে আর জিজ্ঞাসাবাদই করতে পারল না সিআইডি। সে কথা জানিয়ে দাসপুর থানায় ভারতীর বিরুদ্ধে জেনারেল ডায়েরিও (জিডি) করেছে সিআইডি। প্রাক্তন আইপিএস তথা এ বারেল লোকসভা ভোটে ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতী অবশ্য যুক্তি দিচ্ছেন, “ভোটের আর কটা দিন বাকি। নাগাড়ে প্রচার চলছে। সে কথা সিআইডিকে জানিয়ে সময় চেয়েছিলাম। তা ছাড়া, সময় চাওয়ার অধিকার আমার আছে। কারণ এর আগে দফায় দফায় দীর্ঘ সময় আমি সিআইডিকে দিয়েছি। আবারও দেব।”

ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা জানিয়ে আগেই নোটিস দিয়েছিল সিআইডি। ভারতী তারপর সময় সময় চেয়ে সিআইডিকে আবেদন জানান। জবাবে সিআইডি জানিয়ে দেয়, সময় দেওয়া যাবে না। শনিবারই মুখোমুখি বসতে হবে। সিআইডি সূত্রে খবর, সেই মতো এ দিন আইপিএস পদমযার্দার আধিকারিক-সহ ২০ জনের একটি দল দাসপুরে ঢোকে। এ দিকে, এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় প্রচার কর্মসূচি ছিল ভারতীর। সকাল এগারোটা নাগাদ দাসপুরের বাড়ি থেকে ভারতী পাঁশকুড়া রওনা হয়ে যান। প্রায় সেই সময়েই সিআইডি-র দল দাসপুরে ঢোকে।

সাড়ে বারোটার নাগাদ সিআইডি-র একটি দল দাসপুরের কলমীজোড়ের ভারতীর বাড়িতে পৌঁছন। ভারতীর নিরাপত্তারক্ষী ও বিজেপি কর্মীদের কাছে খোঁজখবর নেন ওই দলের সদস্যরা। পরে তাঁরা পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। শেষমেশ আর ভারতীর মুখোমুখি হতে পারেনি সিআইডি। নোটিস দেওয়ার পরেও সোনা প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত ভারতী জিজ্ঞাসাবাদে সময় না দেওয়ায়, বাড়ি গিয়েও তাঁর দেখা না পাওয়ার যাবতীয় ঘটনা উল্লেখ করে দাসপুর থানায় জিডি করে সিআইডি। সিআইডি সূত্রের খবর, গোয়া ঘটনা সুপ্রিম কোর্টে জানানো হবে।

সিআইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে ভারতী অবশ্য এ দিনও ষড়যন্ত্রের অভিযোগই করেছেন। তাঁর দাবি, “আমাকে প্রচারে বেরোতে না দিয়ে ঘরবন্দি করে রাখতে এটা করা হচ্ছে। বহু আগেই আমি তা বুঝেছি। এখন ভোটাররাও বুঝতে পেরে গিয়েছেন।” তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি পাল্টা বলেন, ‘‘ওঁকে ঘরবন্দি করে কার কী লাভ! ভোটের লড়াইয়ে তো উনি প্রায় নেই। তিন নম্বর হবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Bharati Ghosh CID
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE