বাবুল সুপ্রিয়
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাত্রাপথের নিরাপত্তা বেষ্টনী সরানো-সহ একাধিক অভিযোগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে দু’টি পৃথক অভিযোগ হল থানায়।
পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার শ্যামল মণ্ডল ও মেমারির কলানবগ্রামের বাসিন্দা তন্ময় ঘোষের করা অভিযোগ দু’টির ভিত্তিতে অপরাধে উৎসাহিত করা, সরকারি আদেশ অমান্য করা, ক্ষতিকারক কাজ করা এবং কুৎসা করার ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
গত সোমবার জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমান, সেখান থেকে দুর্গাপুর হয়ে বাঁকুড়া যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। তিনি ‘জেড-ক্যাটেগরি’র নিরাপত্তা পান বলে আগাম সতর্ক ছিল পুলিশ। সোমবার সকালে শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের দু’ধারে দড়ি দিয়ে ‘ব্যারিকেড’ করা হয়। তা দেখে গাড়ি থামান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পুলিশের কাছে যান নিয়ন্ত্রণের কারণ জানতে চান। অভিষেকের কনভয় যাওয়ার দু’ঘণ্টা আগে রাস্তা আটকানো হয়েছে কেন, সে প্রশ্ন রাখেন ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলিশের কাছে করা অভিযোগে তন্ময় দাবি করেছেন, ঘটনার সময় শক্তিগড় এলাকায় একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তখন কিছু ছেলেকে নিয়ে বাবুল গাড়ি করে সেখানে এসে দাঁড়ান। অভিযোগ, সাংসদ দলের লোকজনকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি লক্ষ করে ইট মারতে উস্কানি দেন। অভিষেক ও তৃণমূলের নামে ‘গালিগালাজ’ করেন। কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ‘ধমকান’। নিরাপত্তা বেষ্টনীর দড়ি খুলে দেন। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন সিভিক ভলান্টিয়ার শ্যামল মণ্ডলও।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘কাকে, কী রকম নিরাপত্তা দেওয়া হবে সে ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা দফতর রিপোর্ট দেয়। তার ভিত্তিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়। সেখানে কেউ কাজে বাধা দিলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হয়। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে।’’
বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘‘অভিযোগ করতে দিন। আমাদেরও সময় আসবে। অশিক্ষিত তৃণমূলীরা যে মিথ্যা মামলাগুলো করছে, সেগুলো একটা নৌকোয় চাপিয়ে দেওয়া হবে। যাদের ডোবার, তারা ওই মিথ্যা মামলার ভারেই ডুবে যাবে। আর সিভিক ভলান্টিয়াররা যদি এত সহজেই ভয় পেতেন, তা হলে পশ্চিমবঙ্গের এই হাল হত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy