মুনমুন সেন। —ফাইল চিত্র।
ভোট প্রচারে বেরিয়ে এলাকার রাস্তাঘাট নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনের মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হল আসানসোলে। এলাকার রাস্তা বেহাল, এই মন্তব্য করে বিদায়ী সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে মুনমুনের কটাক্ষ, ‘পাঁচ বছর গান গাওয়া হলেও কাজ হয়নি।’ কিন্তু, মুনমুনের এমন মন্তব্যের পরে বিরোধীদের দাবি, প্রার্থী আসলে বেশির ভাগ রাস্তার কাজের দায়িত্বে থাকা আসানসোল পুরসভা ও জেলা পরিষদের দিকেই আঙুল তুলেছেন।
রবিবার পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের এগারায় এক কর্মিসভায় যোগ দিয়ে মুনমুন বলেন, ‘‘রাস্তাগুলো ভাল করতে হবে। রাস্তায় এত গর্ত। গাড়ির কথা ভেবে আমার কান্না পাচ্ছে। গাড়িটা আমার লক্ষ্মী। আমাকে অনেক জায়গায় নিয়ে যেতে হবে ওকে।’’ কোন রাস্তা নিয়ে তাঁর অভিযোগ, সেই প্রশ্নে পরে মুনমুন বলেন, ‘‘গ্রামাঞ্চলে অনেক রাস্তাই খারাপ। আসানসোল শহরের রাস্তা ভাল হলেও অনেক ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। রাস্তার পাশে আবর্জনা।’’
বিরোধীদের দাবি, মুনমুন যে রাস্তাগুলির রক্ষণাবেক্ষণ প্রসঙ্গে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছেন, সেগুলির বেশির ভাগেরই দায়িত্বে আসানসোল পুরসভা ও জেলা পরিষদ। ঘটনাচক্রে, সেই দু’টিই তৃণমূলের দখলে। ফলে, মুনমুনের এই মন্তব্য আসলে তাঁর নিজেরই দল পরিচালিত স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করছে, এই দাবিতে প্রচারে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি প্রার্থী বাবুলের কথায়, ‘‘মুনমুনদি ঠিক কথাটা বলে ফেলেছেন। ওঁর দলের কর্মীদের কাছে জানতে হবে, উন্নয়নের এত টাকা গেল কোথায়।” সিপিএম প্রার্থী গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘আসানসোলের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটিই তৃণমূলের দখলে। তার পরেও এমন অনুন্নয়নের কথা বললেন তাঁদের প্রার্থী। মানুষেরও প্রশ্ন, কেন কাজ হল না?’’ মুনমুন অবশ্য পরে বলেন, ‘‘এর মধ্যে অন্য কোনও অর্থ নেই। যা দেখেছি, তা-ই বলেছি।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কিন্তু, রাস্তা যে বেহাল, তা দলীয় প্রার্থীর মন্তব্যেই স্পষ্ট, মনে করছেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশই। এমন মন্তব্য বিরোধীদের প্রচারে হাতিয়ার তুলে দিল কি না, উঠেছে সে প্রশ্নও। যদিও আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি রাস্তার অবস্থার জন্য দায়ী করেছেন বাম শাসনকে! দলীয় প্রার্থীর রাস্তা বেহালের অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘বামফ্রন্টের ৩৪ বছরে যে কাজ হয়নি, আমরা ন’বছরে তা করার চেষ্টা করেছি।’’ একই বক্তব্য পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরিরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy