কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিতর্ক থামছে না। বাহিনী বেশি বাড়াবাড়ি করলে হাত মুচকে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি। আবার কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঠিক কাজই করছে বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি।
এ দিকে, উত্তর কলকাতায় বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অতি সক্রিয়তা’র যে অভিযোগ উঠেছিল, প্রাথমিক ভাবে ভিডিয়ো ফুটেজে তার সারবত্তা মিলছে না বলেই খবর। সে কারণে কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে ফের ঘটনার রিপোর্ট চাইতে পারে উত্তর কলকাতা জেলা নির্বাচন দফতর।
বুধবার ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারীর (দেব) সমর্থনে সেখানে অরবিন্দ স্টেডিয়ামে কর্মিসভায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদের হাত মুচকে ভেঙে দেব।’’ আবার এ দিন রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) সঙ্গে বৈঠকে বাহিনীর প্রসঙ্গ তোলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘‘বাহিনী জওয়ানেরা বাড়ি বাড়ি না গিয়ে কি আগের বারের মতো হাজারদুয়ারি ঘুরতে যাবেন! তাঁদের উচিত প্রত্যেকটি বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের আশ্বস্ত করা।’’ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করায় রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেছে বিজেপি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গত ১৬ মার্চ উল্টোডাঙায় বাহিনী টহল দেওয়ার সময়ে ভয় দেখিয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। অভিযোগটি সিইও দফতর মারফত পাঠানো হয় উত্তর কলকাতা জেলা নির্বাচন অফিসারের দফতরে। তারা কলকাতা পুলিশের থেকে সংশ্লিষ্ট টহলের ফুটেজ চায়। সেই ফুটেজে প্রাথমিক ভাবে বাহিনীর ‘অতি সক্রিয়তা’র প্রমাণ মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। কারণ, ফুটেজের শুরুতে জওয়ানরা যা বলেছেন তা প্রটোকল মেনেই। কিন্তু ফুটেজের শেষের দিকে একটু অন্য রকম বিষয় রয়েছে। কিন্তু সেখানে জওয়ানেরা কাকে বলছেন, তা ফুটেজে দেখা যায়নি। তাই পুলিশের থেকে আবার রিপোর্ট চাইছে উত্তর কলকাতা জেলা নির্বাচন দফতর।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাহিনীর প্রটোকল অনুযায়ী, জওয়ানেরা ভোটারদের মনোবল বাড়ানোর কাজ করে থাকেন। সেখানে গোলমাল পাকানো কোনও লোক সামনে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিতে পারেন জওয়ানেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy