কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে বুথ, কুইক রেসপন্স টিম এবং স্ট্রংরুম ছাড়া কার্যত কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের সম্ভাবনা নেই। এখনও পর্যন্ত তেমনই পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ফলে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত বাকি নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভার থাকছে রাজ্য পুলিশের হাতে। সেই তালিকায় রাজ্য পুলিশের ইনস্পেক্টর, সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই) বা অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) পদের অফিসারেরা থাকবেন। সঙ্গে থাকবেন কনস্টেবল, এনভিএফ-কর্মীরা।
ভোট পর্বের নিরাপত্তা ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস), সেক্টর, আরটি মোবাইল, নাকা, আন্তঃরাজ্য নাকা। এ-সবের দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশ। প্রতিটি এইচআরএফএসের দায়িত্বে থাকবেন এক জন ইনস্পেক্টর। সেখানে এসআই বা এএসআই, কনস্টেবল, হোমগার্ড, এনভিএফের সঙ্গেই থাকবেন মহিলা পুলিশ কনস্টেবলেরা। থানা, মহকুমা ও জেলা স্তরের স্ট্রাইকিং ফোর্সের ভারও সম্পূর্ণ ভাবে রাজ্য পুলিশের হাতে থাকছে।
কমিশন সূত্রের খবর, থানা স্তরের স্ট্রাইকিং ফোর্সে বিভিন্ন স্তরের পুলিশকর্মী মিলিয়ে প্রায় ৩৫ জন থাকবেন। জেলা স্তরে সেই সংখ্যাটি প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে। পাশাপাশি, কন্ট্রোল রুম এবং ভোটসামগ্রী নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়া এবং ভোটের পরে তা জমা দেওয়া (ডিসিআরসি)-র সময়েও নিরাপত্তার দায়িত্ব যেতে পারে রাজ্য পুলিশের হাতেই। এক জন ইনস্পেক্টরের নেতৃত্বে অন্তত ১০ জন পুলিশকর্মী কন্ট্রোল রুমের নিরাপত্তা সামলাবেন। এ ছাড়াও প্রার্থীর নিরাপত্তা, ভিআইপি এসকর্ট বা পর্যবেক্ষকের এসকর্টের দায়িত্বে থাকবেন রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র কর্মীরা। তবে এনভিএফ-কর্মীদের হাতে শুধু লাঠি থাকবে। নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গোলমাল বাধলে পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রয়োজনে কাঁদানে গ্যাসেরও ব্যবহার করা হবে। তাই কাঁদানে গ্যাসের শেলও থাকবে রাজ্য পুলিশের কর্মীদের কাছে। জোনাল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গেও থাকবেন সশস্ত্র পুলিশকর্মী। এ ছাড়াও ফ্লাইং স্কোয়াড ও স্ট্যাটিক সার্ভিলেন্স টিমেও রাজ্য পুলিশের কর্মীরাই থাকবেন।
কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের ভোটে ৪৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবেই। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সব মিলিয়ে ৭৫ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের মতে, পরিস্থিতি যা, তাতে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া কার্যত সম্ভব নয়। ফলে এ ভাবে রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করেই প্রথম দফার ভোট উত্তীর্ণ হতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে বিরোধীদের অনেকে বলছেন, নির্বাচনে সন্ত্রাস হয় পাড়ায় পাড়ায়। ফলে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করে যদি ভোটারদের বুথ পর্যন্ত পৌঁছতেই দেওয়া না-হয়, তা হলে বুথে বাহিনী রেখে কী লাভ? তবে রাজ্য পুলিশের উপরে আস্থা হারাতে নারাজ কমিশনের বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। তিনি বলছেন, ‘‘দেশের অন্যত্র সেখানকার পুলিশ ভোট সামলাতে পারলে বঙ্গে হবে না কেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy