Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ছাড়! শিক্ষকদের দাবিকে আমলই দেয়নি কমিশন

‘গ্রুপ এ’ শিক্ষকদের ভোটের কাজ দেওয়া তো হচ্ছেই। অভিযোগ, ভোটের কাজে যেতে বলে কোনও কোনও কলেজের অধ্যক্ষকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৩
Share: Save:

‘গ্রুপ এ’ শিক্ষক বা তার সমতুল পদের অফিসারদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলে দাবি তুলেছিলেন রাজ্যের অধ্যাপক-ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ। ভোট পর্ব এগিয়ে আসতেই তা নিয়ে সুর চড়াতে চাইছেন তাঁরা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বিষয়টিকে আমল দিতে রাজি নয়। উঁচু পদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু ছাড় দেওয়া হলেও নির্বাচনে অন্যদের দায়িত্ব পালন করতেই হবে। তবে মহিলা ভোটকর্মীদের দায়িত্ব বণ্টনের ক্ষেত্রে কিছু নতুন নির্দেশ এসেছে।

‘গ্রুপ এ’ শিক্ষকদের ভোটের কাজ দেওয়া তো হচ্ছেই। অভিযোগ, ভোটের কাজে যেতে বলে কোনও কোনও কলেজের অধ্যক্ষকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার বা অধ্যাপকদের একাংশের অভিযোগ, কম পদমর্যাদার কর্মীরা সেক্টর অফিসার হন। অথচ তাঁদের করা হয় প্রিসাইডিং বা পোলিং অফিসার।

এই ধরনের অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর অবশ্য খুব একটা মাথা ঘামাতে রাজি নয়। তাদের মতে, সাধারণত বেতন-কাঠামোয় সিনিয়র বা প্রবীণদের ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে। যতটা সম্ভব জুনিয়রদের নেওয়া হয় ভোটের কাজে। কোনও প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা হয় না। কারণ, প্রতিষ্ঠান পরিচালনার কাজ ব্যাহত হতে দেওয়া যায় না।

কমিশনের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, ভোটটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা পরিচালনা করার জন্য কর্মীর প্রয়োজন পড়ে। সে-ভাবেই নেওয়া হয় তাঁদের। নিয়ম অনুসারে ভোটকর্মীর দলে পদমর্যাদার ক্রম অবশ্যই মানা হয়ে থাকে। পদমর্যাদায় নীচের দিকে থাকা ব্যক্তি ভোটকর্মী হিসেবে বেশি পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে পারেন না।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সেক্টর অফিসার আর প্রিসাইডিং অফিসার নিয়ে ই়ঞ্জিনিয়ার বা অধ্যাপকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠলেও সেই বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে কমিশন। তাদের মতে, প্রিসাইডিং অফিসার একটি ‘স্ট্যাটিউটরি’ বা বিধিসম্মত পদ। আর সেক্টর অফিসার ‘ম্যানেজেরিয়াল’ পদ। দু’টিকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। কোনও বুথে পুনরায় নির্বাচন হবে কি না, সে-ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব পায় প্রিসাইডিং অফিসারের রিপোর্ট। আসন্ন ভোটের জন্য কর্মী-তালিকা সংশ্লিষ্ট অফিসই তৈরি করে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছিল। সেই তালিকা তৈরিতে কোথাও কোথাও ত্রুটিবিচ্যুতি হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।

এ বারের ভোটে রাজ্যে মহিলা পরিচালিত বুথের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। মহিলাদের নিজের বাড়ির থানা এলাকার বাইরের বুথে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এক কর্তার কথায়, ‘‘নিজের থানা এলাকার বাইরে ভোটকর্মীর দায়িত্ব পালন করবেন মহিলা ভোটকর্মীরা।’’ সেই জন্য যে-সব এলাকায় মহিলা বুথ বাছাই করা হয়েছিল, তার কিছু পরিবর্তন হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE