বাবুল সুপ্রিয়। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে প্রচার-গান (থিম সং) বেঁধেছেন আসানসোলের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ না হওয়া সেই গানের রেকর্ডিংয়ের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে শো-কজ় করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বাবুলকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার জবাব দিতে হবে। কমিশন সূত্রের দাবি, যতক্ষণ আইনি ছাড়পত্র না মিলছে, ততক্ষণ পর্যন্ত গানটি সরকারি ভাবে প্রকাশও করা যাবে না।
আবার ওই গানের কথায় তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবমাননা করা হয়েছে—এই মর্মে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন আসানসোলের একটি গ্রন্থাগারের পরিচালন কর্তৃপক্ষ।
শো-কজ় প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ‘‘কমিশন যদি গান নিয়ে কোনও শো-কজ পাঠায়, নিশ্চয়ই তার জবাব আমি দেব।’’ অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘গানের কথা ও লাইনগুলি বিরোধীদের বলা অভিযোগ। নিশ্চয় অকাট্য সত্য, তাই ওঁদের গায়ে লাগছে।’’ জানা গিয়েছে, এই গানের গীতিকার অমিত রায় ও বাবুল নিজে। নিয়মানুসারে, এ ধরনের ক্ষেত্রে ‘মিডিয়া সার্টিফিকেশন এবং মনিটরিং কমিটি’র (এমসিএমসি) কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু গানটির ব্যাপারে কমিশনের কাছ থেকে বিজেপি বা বাবুলের তরফে অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে কমিশন। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) সঞ্জয় বসু জানান, তাঁরা ‘মিডিয়া ওয়াচ’ থেকে এ বিষয়টি নজর করেছেন। সে প্রেক্ষিতে বাবুলের জবাব চাওয়া হয়েছে। ওই গানের বিষয়বস্তু (কনটেন্ট) নিয়ে তৃণমূলের তরফেও আইনজীবী সঞ্জয় বসু অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আসানসোলে অভিযোগকারী ‘পশ্চিম বর্ধমান স্টুডেন্টস লাইব্রেরি’র তরফে গৌরব গুপ্ত দাবি করেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। এই গানের সম্প্রচার বন্ধ হোক।’’ বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই অবশ্য বলেন, ‘‘সাংসদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতেই শাসক দল প্রভাবিত সংগঠনের এই অভিযোগ।’’
আসানসোল পুরসভার মেয়র তৃণমূলের জিতেন্দ্র তিওয়ারির মন্তব্য, ‘‘কেউ যদি ভুল করেন, তাঁর বিরুদ্ধে তো অভিযোগ হবেই। উনি গায়ক বটে, তবে পাঁচ বছরে এলাকায় গানটাও ঠিক ভাবে গাননি।’’ আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy