ভোটের দিল ঘোষিত না হলেও ১ মার্চ থেকে ৩১ জুলাই, এই পাঁচ মাস দার্জিলিঙের সরকারি কর্মীদের কোনও ছুটি মঞ্জুর হবে না। প্রতীকী ছবি।
দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। এর মধ্যে দার্জিলিঙের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিলেন, ১ মার্চ থেকে ৩১ জুলাই, এই পাঁচ মাস সরকারি কর্মীদের কোনও ছুটি মঞ্জুর হবে না। নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়, একমাত্র চিকিৎসার প্রয়োজনে ছুটির দরকার হলে মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে হাজিরা দিতে হবে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেলেই ছুটি মঞ্জুর হবে। এই নির্দেশকে ঘিরে জেলার সরকারি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি এই নির্দেশিকাটি জারি করেন জয়সীদেবী। জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে, জেলায়, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় কর্মী সংখ্যা কম। মার্চের গোড়ায় ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে কাজের যে বিপুল চাপ, কর্মীরা একসঙ্গে অনেকে ছুটি নিলে, তা আটকে যেতে বাধ্য। জেলাশাসক বলেন, ‘‘ভোটের সময় সরকারি কর্মীদের একাংশের মধ্যে ছুটি নেওয়ার প্রবণতা ঠেকাতেই এমন নির্দেশ।’’ তবে তাঁর আশ্বাস, ‘‘প্রতিটি ছুটির আবেদন আলাদা করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
সরকারি কর্মীদের সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি, ফেডারেশনের তরফে কিন্তু নির্দেশিকার প্রতিবাদ করা হয়েছে। বামপন্থীদের সরকারি কর্মীদের যৌথ সংগঠন ১২ জুলাই কমিটির জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক রামেশ্বর বসকি বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় ভাবে স্বরাষ্ট্রসচিবের নজরে বিষয়টি আনছি।’’
আরও পড়ুন: কালি এ বার ভোটার-সঙ্গীর ডান তর্জনীতে
সরকারি কর্মীদের একাংশের কথায়, ভোটের সময় চিকিৎসা বা আপৎকালীন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ছুটি বন্ধ থাকে। কিন্তু ভোটের আগে-পরে মিলিয়ে পাঁচ মাস ছুটি হবে না— এমন ঘোষণা এর আগে সম্ভবত পুলিশ বিভাগেও হয়নি। প্রশাসনের কয়েক জন অফিসার বলেন, নিয়ম জানা থাকায় কর্মীদের বেশির ভাগই ভোটের সময়ে ছুটি নেননি। কিন্তু মার্চে অনেকেরই ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, চিকিৎসা বা ব্যক্তিগত জরুরি কাজের জন্য আগাম ছুটি নেওয়া রয়েছে। ট্রেন, বিমানের টিকিটও কাটা। সমস্যা হয়েছে এই ছুটিগুলি নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy