কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। ছবি- পিটিআই
বাংলার নেতাদের তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ সিপিএমকে ছেড়ে দিয়ে আসন সমঝোতা করতে হবে। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে সমঝোতার আলোচনা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। সিপিএমের জেতা দুই আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে। তাঁর প্রাথমিক নির্দেশের অন্য পথে হেঁটে বাংলায় একা চলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে আজ, শনিবারই প্রথম রাহুল গাঁধীর মুখোমুখি হচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। লোকসভা ভোটের মুখে এ বারের প্রথম বাংলা সফরে মালদহে আজ রাহুলের সভার দিকে নজর গোটা রাজনৈতিক শিবিরেরই।
বিহারের পূর্ণিয়ায় ‘জনভাবনা সমাবেশ’ সেরে আজ কপ্টারে সরাসরি মালদহের চাঁচলে পৌঁছনোর কথা কংগ্রেস সভাপতির। চাঁচলের কলমবাগান ময়দানে তাঁর সমাবেশ। লোকসভা ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিকে তিনি যে প্রবল আক্রমণ করবেন, তা প্রত্যাশিতই। কিন্তু রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল সম্পর্কে তাঁর মনোভাব কী থাকে, সে দিকে নজর রাখছে সব শিবিরই। পাশাপাশিই, সমঝোতার প্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার পরে বামেদের সম্পর্কেই বা তাঁর কী অবস্থান হবে, তা নিয়েও কৌতূহল আছে। যদিও কংগ্রেস নেতারা বলছেন, উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে গত বার সিপিএম দ্বিতীয় হলেও এখন সেখানে তৃণমূল ও বিজেপি, দুই দলের প্রভাবই আগের চেয়ে বেশি।
গত বারের বিজয়ী কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূর এ বার তৃণমূল প্রার্থী। ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থান পাওয়া সিপিএমের খগেন মুর্মু এখন বিজেপির প্রার্থী। এমন এক কেন্দ্রে দলবদল নিয়েও রাহুল মুখ খুলুন, চাইছেন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র-সহ রাজ্যের নেতাদের অনেকেই শুক্রবার মালদহ পৌঁছে গিয়েছেন। মালদহের সব কংগ্রেস বিধায়ককে সমাবেশে থাকতে বলা হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাশের দুই জেলা মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের কংগ্রেস নেতৃত্বকেও। সোমেনবাবুদের দাবি, ‘‘চাঁচলে রাহুল এই প্রথম আসছেন। তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা প্রবল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy