Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

তৃতীয় পর্বে রাজ্যে প্রার্থী ৪ ধনকুবের

পর্যবেক্ষণ সংস্থার বিশ্লেষণ অনুযায়ী এই পর্বে কংগ্রেস, তৃণমূল এবং বিজেপি— তিন দলেরই পাঁচ জন করে প্রার্থী আছেন। এবং প্রতিটি দলেরই তিন জন করে প্রার্থী কোটিপতি।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৩৫
Share: Save:

লড়াইটা তাঁদের ভোটের ময়দানে। তবে সম্পত্তির নিরিখে রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় যুযুধান বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল প্রার্থীরা প্রায় একই আসনে বসতে পারেন। পরের পর্বে তিন জেলার পাঁচটি আসনে ভোট হবে। নির্বাচন কমিশনের কাছে সেই পাঁচ আসনে বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ (এডিআর) এবং ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ’।

পর্যবেক্ষণ সংস্থার বিশ্লেষণ অনুযায়ী এই পর্বে কংগ্রেস, তৃণমূল এবং বিজেপি— তিন দলেরই পাঁচ জন করে প্রার্থী আছেন। এবং প্রতিটি দলেরই তিন জন করে প্রার্থী কোটিপতি। ওই তালিকায় সব থেকে ধনী জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে মালদহ (দক্ষিণ) কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী (মোট সম্পত্তি প্রায় ২৮ কোটি টাকা) এবং জঙ্গিপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় (মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৪ কোটি টাকা)। বিজেপির পাঁচ জন প্রার্থীর মধ্যে সব থেকে ধনী মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের হুমায়ুন কবীর। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় চার কোটি টাকা। বাকি দু’জন কোটিপতি প্রার্থী হলেন মালদহ (উত্তর)-এর প্রার্থী খগেন মুর্মু (সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় এক কোটি) এবং মালদহ (দক্ষিণ)-এর প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী (মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় এক কোটি)।

রাজনৈতিক মহলের খবর, তালিকার শীর্ষে থাকা খলিলুর, আবু হাসেম ও অভিজিৎ তিন জনেই সম্পন্ন পরিবার থেকে এসেছেন। খলিলুর মুর্শিদাবাদের ধনী বিড়ি ব্যবসায়ীদের অন্যতম। আবু হাসেম ওরফে ডালু মালদহের চৌধুরী পরিবারের সন্তান ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গনি খান চৌধুরীর ভাই। ব্যবসায়ী ডালুবাবু দীর্ঘদিন বিদেশেও ছিলেন। আর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎবাবু বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শীর্ষ পদে চাকরি করেছেন।

‘‘এখন সামান্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলেও প্যান কার্ড লাগে। সেখানে ওই প্রার্থীরা প্যানের তথ্য কেন দিলেন না, সেই প্রশ্ন উঠবেই,’’ বলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচের রাজ্য কো-অর্ডিনেটর উজ্জয়িনী হালিম। তবে সম্পত্তির নিরিখে প্রথম তিন প্রার্থী আয়করের রিটার্ন এবং প্যান-তথ্য দিয়েছেন।এমন কোটিপতি প্রতিদ্বন্দ্বীর পাশাপাশি এমনও দু’জন প্রার্থী আছেন, যাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র পাঁচ হাজার টাকা! তাঁরা হলেন বালুরঘাটের সিপিআইএমএল (রেড স্টার) প্রার্থী মানস চক্রবর্তী এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নারান টুডু। পর্যবেক্ষণ সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ওই পাঁচটি কেন্দ্রে সব প্রার্থীর মোট সম্পত্তি যোগ করে গড় করলে এক-এক জন প্রার্থীর গড় সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে এক কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা। তালিকায় সম্পদশালী ছোট দল ও নির্দল প্রার্থীরাও রয়েছেন। সাত জন প্রার্থী এমন রয়েছেন, যাঁরা প্যান কার্ডের তথ্য দেননি। তাঁদের মধ্যে মালদহ (উত্তর) কেন্দ্রের কামতাপুর পিপলস পার্টির প্রার্থী সুভাষ বর্মণের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৯৮ লক্ষ টাকা। আরও দুই প্রার্থী আছেন, যাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩০ লক্ষ ও ২০ লক্ষ টাকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Election Commission
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE