Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গে তৃতীয় দফায় ৫ বিজেপি প্রার্থীর ৪ জনই অভিযুক্ত

তৃতীয় দফায় বাংলার পাঁচটি কেন্দ্রে নির্বাচন হতে চলেছে। সেই সব আসনের প্রার্থীদের অপরাধের তথ্য নিয়ে সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘এডিআর’ ও ‘ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ’।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৩৮
Share: Save:

পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় দফার ভোটের আগেই একটি বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে আছে বিজেপি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থার বিশ্লেষণ অনুযায়ী রাজ্যে তৃতীয় পর্বের পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী বড় দলগুলির মধ্যে অপরাধের হিসেবে বিজেপি শীর্ষে রয়েছে। তাদের পাঁচ জন প্রার্থীর মধ্যে চার জনের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে (শতকরা হিসেবে ৮০) এবং সেই সমস্ত অভিযোগই অত্যন্ত গুরুতর।

তৃতীয় দফায় বাংলার পাঁচটি কেন্দ্রে নির্বাচন হতে চলেছে। সেই সব আসনের প্রার্থীদের অপরাধের তথ্য নিয়ে সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘এডিআর’ ও ‘ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ’। তাদের রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে, এই পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বী বড় দলগুলির মধ্যে অপরাধের পরিসংখ্যানে এগিয়ে বিজেপি-ই! তার পরেই রয়েছে তৃণমূল। তাদের পাঁচ জন প্রার্থীর মধ্যে দু’জনের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এবং দু’জনেই গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত (শতকরা হিসেবে ৪০)। তার পরে আছে সিপিএম। চতুর্থ স্থানে কংগ্রেস। ওই দু’দলের

অভিযুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে যথাক্রমে ৩৩ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি আসনে মোট ৬১ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৪ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সারা দেশে তৃতীয় দফার নির্বাচনে মোট ১৫৯৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৩০ জন অর্থাৎ ১৪ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। খুনের অভিযোগ আছে ১৩ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ২৯ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের মতো অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনে জমা পড়া হলফনামা যাচাই করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ (এডিআর)।

শুধু প্রার্থী নয়, রাজনৈতিক দলগুলির উপরেও এই সমীক্ষা করেছে এডিআর। তাতে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত প্রার্থীদের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। তালিকায় প্রথমে রয়েছে এনসিপি। তাদের ৬০ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এবং ৫০ শতাংশ প্রার্থী গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত। সিপিএমের ৫৮ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এবং ৩২ শতাংশ গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত। চার নম্বরে রয়েছে কংগ্রেস। তাদের ৪৪ শতাংশ প্রার্থী অভিযুক্ত এবং ২৭ শতাংশ গুরুতর। তৃণমূলের ৪৪ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এবং তাঁদের সকলেই গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত। দেশওয়াড়ি হিসেবে ষষ্ঠ স্থানে বিজেপি। তাদের ৩৯ শতাংশ প্রার্থী অভিযুক্ত এবং গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত তার ২৭ শতাংশ।

নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ভোট দেওয়ার আগে নিজেদের প্রার্থী সম্পর্কে ভোটারদের সম্যক ধারণা প্রয়োজন। তাই এই অপরাধের তথ্য সামনে আনা দরকার। ভোট দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক কর্তব্য পালনের আগে ভোটারদের এই সব তথ্য জানা প্রয়োজন বলেও দাবি পর্যবেক্ষকদের। তবে রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনেকেই বলছেন, অনেক সময়েই শাসক দলের ‘ষড়যন্ত্র’-এ এই ধরনের মামলায় জড়িয়ে যেতে হয়। রাজ্যের শাসক দল বিরোধীদের এ ভাবে হেনস্থা করতে চায়। কখনও কখনও সেই অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 BJP Criminal Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE