দুর্গাপুরে সিপিএম প্রার্থীর প্রচার। নিজস্ব চিত্র
এক জন সরব হলেন স্থানীয় নানা সমস্যা নিয়ে। অন্য জনের কাছে ভোটারদের আর্জি, নতুন শিল্পের। প্রথম জন, আসানসোল কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। দ্বিতীয় জন, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের ওই দলেরই প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরী। এ ভাবেই নানা কথায়, জনসংযোগের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার জেলায় প্রচার সারল সিপিএম।
এ দিন সকালে দুর্গাপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সগড়ভাঙায় যান আভাসবাবু। পোস্টঅফিস মোড়, গ্রাফাইট কলোনি, রায়ডাঙা প্রভৃতি এলাকা পরিক্রমা করে সিপিএমের মিছিল। পথে রিকশাচালক, টোটো যাত্রী, পথচারীদের সঙ্গে আলাপ সারেন আভাসবাবু। বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ, তা-ও ছিল। সুনীল মণ্ডল নামে এক ভোটার অভিযোগ করেন, ‘‘পুরসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি সন্ত্রাসের জন্য, সেটাই বলেছি প্রার্থীকে।’’ মহেন্দ্র সিংহ নামে অন্য এক ভোটার বলেন, ‘‘শিল্প-কারখানা তৈরির দাবি জানিয়েছি প্রার্থীর কাছে।’’ পরে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের নানা এলাকায় প্রচার সারেন আভাসবাবু।
সকাল থেকেই প্রচারে নামতে দেখা যায় গৌরাঙ্গবাবুকেও। হিজলগড়া পঞ্চায়েতের নানা এলাকায় প্রচার সারেন তিনি। ছিল একাধিক পথসভাও। সেই সভাগুলি থেকে গৌরাঙ্গবাবু এলাকার নানা ‘অনুন্নয়ন’ নিয়ে সরব হন। বীরকুলটিতে সেচখাল, হিজলগড়ায় বেসরকারি সিমেন্ট কারখানা প্রভৃতি চালু না হওয়া, দরবারডাঙায় ইস্পাত কারখানা তৈরির তোড়জোড় হয়েও তা থমকে যাওয়া-সহ নানা বিষয়ে সরব হন গৌরাঙ্গবাবু। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘বাগডিহা, সিদ্ধপুর প্রভৃতি এলাকায় অজয়ের গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় ভূমিক্ষয় হচ্ছে। তার পরেও রাজ্য সরকার সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়নি।’’
যদিও অনুন্নয়ন বা কাজ থমকে যাওয়ার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম প্রার্থী এলাকায় এসে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। গত কয়েক বছরে দৃষ্টান্তমূলক উন্নয়ন হয়েছে জামুড়িয়ায়।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসনেরও দাবি, ‘‘জামুড়িয়ার নানা এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy