মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বুনিয়াদপুরের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের হয়ে ভোটের প্রচারে গিয়ে ফের বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি আর্জি জানান, পাঁচ বছরের জন্য মোদীকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। উনি ব্যর্থ হয়েছেন। ওঁকে আর সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।
বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মের নামে রাজনীতি করার অভিযোগও তোলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, বিজেপির আমলে কোনও উন্নতি হয়নি। ধর্মের নামে শুধু রাজনীতি করে বেড়ায় ওরা।
প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার থেকে বাক্স নামানো নিয়ে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল কংগ্রেস। সেই ‘রহস্যজনক’ বাক্স নিয়েও বিজেপিকে খোঁচা দেন মমতা। তিনি বলেন, টাকা ছড়িয়ে নির্বাচন জেতা যায় না।
আমরা চৌকিদার চাই না, গাঁধী, অম্বেডকরের মতো যোগ্য নেতা চাই। সরকার গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে তৃণমূল। আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশে এবং বাংলা মিলেই সরকার গড়বে। সংসদে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছে তৃণমূল। আরএসএসের এখন শপিং মল কালচার। সীমান্ত এলাকায় ভয় দেখাচ্ছে আরএসএস। ভোট কিনতে টাকা ছড়াচ্ছে। বিজেপিকে ভোট দেবেন না। একদিকে বলছে বাংলাদেশিদের তাড়াও। আবার তাদের কাছেই গিয়ে বলছে আপনাদের নাগরিকত্ব দেব। মুসলিমদের দেব না। বিজেপি নেতারা বলছেন এনআরসি করবেন। বাংলায় এনআরসি হতে দেব না। নির্বাচনের সময় লাল-কালো-সাদা কত বাক্সই আসছে। কিন্তু টাকা দিয়ে ভোট হয় না। সারা বছর কাজ করতে হয়। শুধু বিদেশে ঘুরে বেড়ালে হয় না। উন্নয়ন নয় বিজেপি শুধু দাঙ্গা করে। মোদীর আমলে কর্মসংস্থান হয়নি। বিজেপির আমলে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। বিধানসভায় হেরে গিয়েও আমারা মানুষের পাশে আছি। বিজেপি মানুষের জন্য কাজ করেনি।বাংলায় রসগোল্লা পাবে বিজেপি। বিজেপি আর আসবে না। অন্ধ্রপ্রদেশে বিজেপি শূন্য, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ও পাবে না। উত্তরপ্রদেশে ২০টা আসনও পাবে না বিজেপি। বিহার, দিল্লি, কর্নাটকেও জায়গা হবে না। ৫ বছরের জন্য মোদীবাবু সুযোগ পেয়েছিলেন। আর দেবেন না। ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি বিজেপি ১৪২৬, মানুষ বলছে ৪২-এ ৪২ মমতা। তৃণমূলের আমলে বাংলা এগোচ্ছে। বিজেপি মানুষের জন্য কাজ করেনি। ৩৪ বছরে বাম সরকারের শাসনে বাংলায় উন্নয়ন হয়নি। সাড়ে সাত বছরে উন্নয়ন করে দেখিয়েছে তৃণমূল সরকার। ৯ কোটির মধ্যে ৮ কোটি মানুষকে ২ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছি আমরা। ৮ লক্ষ সংখ্যালঘুকে স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। বাংলা এখন সারা পৃথিবীর বিস্ময়, গর্ব। এক কোটি সাইকেল দিয়েছি আমরা। উত্কর্ষ কেন্দ্র থেকে ৬ লক্ষ ছেলমেয়েদের বছরে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। দেশে তো বটেই পৃথিবীতে এই প্রথম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy