মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে।
নেহাতই একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। ভোট-মরসুমে সেই অনুষ্ঠানে তাঁর যোগদানে কোনও রাজনীতি নেই বলে নিজেই দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ভোট-মরসুমে মারোয়াড়ি সমাজের কাছে তিনি মঙ্গলবার যে বার্তা দিলেন, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা।
উপলক্ষ ছিল দোল-উৎসব। সেখানেই পুলওয়ামার জওয়ানদের মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মমতা বললেন, ‘‘জওয়ানদের রক্ত নিয়ে কোনও রকম রাজনীতি চাই না। রক্ত নিয়ে হোলি খেলবেন না। হোলি খেলুন হৃদয় দিয়ে।’’ পাশাপাশি, তাঁর বার্তা, ‘‘দেশে যা পরিস্থিতি চলছে, তার বদল হলে আর আপনাদের অসুবিধা হবে না। আপনাদের উপর অত্যাচার হতে দেব না। এটা আপনাদের কাছে আমার আশ্বাস।’’আয়কর, ইডি, সিবিআই-এর মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে ব্যবসায়ীদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে বারবারই অভিযোগ করেন মমতা। এ দিনও একই অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘এরা(বিজেপি) যতদিন থাকবে, ততদিন সাবধানে থাকবেন। আমার তো কখনও কখনও ভয় হয়, আপনাদের ঘরে না এই সব সংস্থা চলে যায়!’’
নজরুল মঞ্চের এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল মারোয়াড়ি সমাজের একটি সংগঠন। উপস্থিত সদস্যদের মমতা বলেন, ‘‘মারোয়াড়িদের সঙ্গে আমার অনেক দিনের সম্পর্ক। দোলের অনুষ্ঠানে আসতে ভালই লাগছে। তবে এর সঙ্গে কোনও ভোট-রাজনীতি নেই।’’কোনও রকম ভেদাভেদের ‘রাজনীতি’ না করে রাজ্যে সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতেও এ দিন আবেদন করেন মমতা।তাঁর বক্তব্য, ‘‘হোলির পরিবেশ সুন্দর থাকুক। একে যেন আমরা কেউ দূষিত না করি। সবাই সবাইকে যেন আপন করে নিতে পারি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মূলত হিন্দিভাষীদের এই অনুষ্ঠানে ধর্মাচরণ থেকে রামমন্দির— সব প্রসঙ্গই তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ওরা একটি রামমন্দির বানাতে পারল না, অথচ প্রতি বারই ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দেয়।’’ বিজেপি নেতাদের ধর্ম-রাজনীতি নিয়ে আক্রমণ করে মমতার বক্তব্য, ‘‘শুধু তিলক কাটলেই পুজো করা হয় না। মোদী, অমিত শাহ আমার সঙ্গে মন্ত্রের প্রতিযোগিতা করবেন নাকি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy