Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘তিনটি আসনই আমাদের দিন’

দু’টি সভাতেই মানুষের কাছে প্রশ্নও রেখেছেন তিনি— ‘‘কংগ্রেস এখান থেকে বার বার জিতে কী করেছে?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

বিমান হাজরা ও সামসুদ্দিন বিশ্বাস
জঙ্গিপুর ও কান্দি শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:২৭
Share: Save:

বিজেপি ‘শেষ’, ভরসা নেই কংগ্রেসের উপরেও। তাঁর ফেডারেল ফ্রন্টই দেশের আগামী দিনের ‘আলো’, যার নেতৃত্ব দেবে তৃণমূল।

দু’দিন আগে বেলডাঙা এবং ভগবানগোলার সভার সুরই ধরে রাখলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করে দিলেন, কংগ্রেস এবং বামেদের সঙ্গে যে দূরত্ব তৈরি করেছেন তিনি, তা জিইয়ে রাখছেন সচেতন ভাবেই।

তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছিলাম, কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের বন্ধুত্বের বহর দেখে। সে বন্ধুত্ব এত বেশি ছিল যে, কংগ্রেস নিজের দলের ঝান্ডাকে সিপিএমের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল। আজকেও আমি দুঃখের সঙ্গে বলছি বাংলায় এখন কংগ্রেস সিপিএম-বিজেপি’র কাছে নিজের পতাকাকে সমর্পণ করে দিয়েছে।’’ তাঁর ভাষায়, রাজ্যের এই তিন শক্তি এখন, ভাই ভাই, ‘জগাই, মাধাই, গদাই!’

সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদের মানুষকে এ দিন নাগরিকপঞ্জি নিয়েও সতর্ক করে গিয়েছেন মমতা, “অসমে এনআরসি’র নাম করে ২২ লক্ষ বাঙালি হিন্দু ও মুসলিমকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলায় এসে আবার বিজেপি বলছে তারা এনআরসি করবে। কংগ্রেস প্রার্থীরা ভোট চাইতে এলে ওঁদের জিজ্ঞেস করুন, যখন অসমে এনআরসি হয় তখন কংগ্রেস প্রতিবাদ করেনি কেন? আমার দলের সাংসদেরা প্রতিবাদ করল, অসমে ছুটে গেল। মার খেল। কংগ্রেস কেন সে দিন এনআরসি’র প্রতিবাদ করে হাউসে ভোটাভুটি চায়নি?”

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিনও ফের কংগ্রেসের সঙ্গে আরএসএস যোগের অভিযোগ তোলেন মমতা। বলেন, “জঙ্গিপুরে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে বিজেপি। আরএসএসও সেই কাজ করছে। কিছু আরএসএস-এর দালাল, আগে হাফপ্যান্ট পরে ঘুরে বেড়াত, এখন এখানে বসে আছে। আর টাকার বাক্স নিয়ে কংগ্রেসের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করে বেড়াচ্ছে। চারদিকে নজর রাখুন। কিছু হলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে অভিযোগ করবেন। মোবাইলে ছবি তুলবেন।”

দু’টি সভাতেই মানুষের কাছে প্রশ্নও রেখেছেন তিনি— ‘‘কংগ্রেস এখান থেকে বার বার জিতে কী করেছে? অথচ আমরা কত ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাস্টার তৈরি করেছি এ জেলায় যাতে আর্থিক উন্নতি হয়। কাজ করব আমরা, আর নির্বাচনের সময় দিল্লির বাবুরা এসে ভোট চাইবে!’’

সমালোচনার তালিকা থেকে বাদ যাননি নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীও। মমতার দাবি, ‘‘মোদী বলেছিলেন পাঁচ বছরে ১০ কোটি চাকরি দেব। দেওয়া তো দূরের কথা, দু’কোটি ছেলেমেয়ে বেকার হয়ে গেল। জেট এয়ারওয়েজের কর্মীদের কাজ হারানো কিংবা বিএসএনএলের কাজ হারানোর আশঙ্কা— মোদী সরকার কী দিয়ে গেলেন দেশকে।’’

দু’জায়গাতেই মঞ্চ থেকে দলীয় নেতাদের নাম ধরে তাঁর আবেদন, ‘‘মুর্শিদাবাদে তিনটি আসনই এ বার আমাদের দিন। বাংলায় ৪২’এ ৪২টা পেতে গেলে মুর্শিদাবাদের তিনটি আসনও আমাদের দিতে হবে। বহরমপুরে এ বার কংগ্রেস হারবে, মুর্শিদাবাদে বামেরা হারবে। তৃণমূলই ভারতবর্ষে সরকার গড়বে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE