শনিবারের পরে রবিবারও ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মিথ্যে ভাষণের দায়ে অভিযুক্ত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার রেল-প্রকল্প নিয়ে শনিবারই মমতা-মোদী তর্ক বেধেছিল। বাংলার রেলপ্রকল্পগুলির কৃতিত্ব কার, তা নিয়ে দু’জনেই চাপানউতোরে জড়িয়েছেন। এ দিন নদিয়ায় ফের মোদীকে বিঁধে মমতা বলেন, ‘‘এক জন প্রধানমন্ত্রী কোনও রকম হোমওয়ার্ক করেন না। কোনও রাজ্যের খবর রাখেন না। শুধু নিজের নামে সিনেমা করবেন, দোকান করবেন।’’
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘তুমি কী করেছ? এখানে এসে খালি বলছে মমতা কী করেছে? হরিদাস সব। এটা কি বাংলার নির্বাচন? আমি কি তোমাদের চাকরবাকর? আমি বাংলার মানুষকে কৈফিয়ৎ দেব। তোমাদের কৈফিয়ৎ দেব না।’’ এর পরেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ‘চিটিংবাজ সরকার’ বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বালুরঘাটের পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে রেলমন্ত্রী হিসেবে কী কী কাজ করেছিলেন, শনিবার তার খতিয়ান দিয়েছিলেন মমতা। এ দিন সে প্রসঙ্গ টেনে নদিয়ার উন্নয়ন-তালিকা দেন। মমতার কথায়, ‘‘কল্যাণীতে অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট তৈরি করেছি। এখানে মৌলানা আবুল কালাম ইনস্টিটিউট হয়েছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার, দুধ প্রকল্প। হয়েছে।’’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেডিয়াম, হ্যান্ডলুম টেকনোলজি, আইটিআই-এর তালিকা দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘জমি পেলে বিমানবন্দরও করা যেত। এক হাজার একর জমির খোঁজ চলছে এর জন্য।’’
রাজ্যের উন্নয়নের নথি না দেখে শুধুমাত্র দলের নেতাদের কথায় মোদী এ রাজ্যে এসে মিথ্যা বলছেন বলেও অভিযোগ করেন মমতা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করতে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া ‘গদ্দার’রা অন্যতম ভূমিকা নিচ্ছে বলেও মমতার অভিযোগ।
তাঁর কথায়, ‘‘গদ্দারগুলো মোদীকে গ্যাস খাওয়াচ্ছে।’’ তাঁর দল থেকে বিজেপিতে যাওয়া মুকুল রায় এবং অর্জুন সিংহের নাম না করে মমতা বলেন, ‘‘আপনাদের এখানে একটা গদ্দার(মুকুল) ছিল। তাকে তাড়িয়ে দিয়েছি। আরেকটা গদ্দার(অর্জুন) ভাটপাড়ায় তৈরি হয়েছিল। তাড়িয়ে দিয়েছি। আমি বিশ্বাসঘাতকদের নিয়ে কাজ করি না।’’ মুকুলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বড় গদ্দার আর কে আছে! উনি তো কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল গড়েছিলেন। সেটা গদ্দারি ছিল না?’’ আর অর্জুনের বক্তব্য, ‘‘মৌসম নূর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এলে সেটা ন্যায় বোধহয়? আর আমরা দল বদলালে গদ্দার!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy