Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

শাহের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে স্থগিতাদেশ নেই

বিচারপতি বুধবার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মামলার কেস ডায়েরি বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করতে হবে। সেই অনুযায়ী কেস ডায়েরি পেশ করে রাজ্য সরকার।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ০২:৪৮
Share: Save:

কাঁথির জনসভায় তাঁর বক্তৃতা নিয়ে দায়ের করা এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর বিরুদ্ধে সেই মামলায় তদন্তের উপরে বৃহস্পতিবার কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি উচ্চ আদালত।

বিজেপি সভাপতি সম্প্রতি কাঁথির জনসভায় উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করেছেন বলে অভিযোগ তুলে গত ২৯ জানুয়ারি রাতে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন অতনু গিরি নামে সেখানকার এক বাসিন্দা। তার জেরে হাইকোর্টে এফআইআর খারিজের আবেদন জানান শাহ। এ দিন সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের আদালত। বিচারপতি ওই মামলার আইনি প্রক্রিয়ার উপরে চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

বিচারপতি বুধবার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মামলার কেস ডায়েরি বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করতে হবে। সেই অনুযায়ী কেস ডায়েরি পেশ করে রাজ্য সরকার। তা খুঁটিয়ে পড়ে বিচারপতি সেনগুপ্ত সরকারি কৌঁসুলির উদ্দেশে মন্তব্য করেন, ‘‘এফআইআরে জানানো হয়েছে, ‘ভোটগণনা শুরু হলে সরকার পড়ে যাবে’ এবং ‘এ রাজ্যে দুর্গা ও সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া হয় না’ বলে ওই জনসভায় বক্তব্য পেশ করা হয়। এই দু’টি মন্তব্য কী ভাবে উস্কানি ও প্ররোচনামূলক হয়? কেস ডায়েরিতে পুলিশ এত সাক্ষীর বয়ান নথিভুক্ত করিয়েছে, আর জনসভার বিবৃতি এত সামান্য! উস্কানি, প্ররোচনার মতো বিশেষণ যত খুশি ব্যবহার করা যায়। কিন্তু তার তথ্যপ্রমাণ কোথায়?’’

সরকারি কৌঁসুলি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় জানান, জনসভা শেষ হওয়ার পরে বিজেপির দলীয় সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে। লোকজনকে মারধর করে। ঘরবাড়িতে আগুন লাগায়, একাধিক মোটরবাইক জ্বালিয়ে দেয়। এফআইআরে বলা হয়েছে, শাহ প্ররোচনামূলক, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য পেশ করেছেন ওই জনসভায়। একাধিক সাক্ষী পুলিশের কাছে তাঁদের বয়ান দিয়েছেন।

শাহের আইনজীবী ওয়াই জেড দস্তুর ও ফিরোজ এডুলজি এ দিন আদালতে জানান, গোলমাল বা ভাঙচুরের সময় তাঁদের মক্কেল ঘটনাস্থলে ছিলেন না। কাজেই ওই জনসভায় বক্তব্য পেশের জন্য এই এফআইআর দায়ের করে তদন্ত হতে পারে না।

দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে মামলার আইনি প্রক্রিয়ার উপরে চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়ে বিচারপতি জানিয়ে দেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে দু’সপ্তাহ পরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE