—ফাইল চিত্র।
নির্বাচন যজ্ঞের সূচনা থেকেই তাকে নিয়ে সংশয়-সন্দেহ ছিল। সোমবার, চতুর্থ দফার ভোটেও বিভিন্ন জায়গায় সেই ইভিএম বা বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রে গোলমালের অভিযোগ এসেছে। ভোটযন্ত্রের বিভ্রাটে বিভিন্ন জায়গায় ৩০ মিনিট থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ ব্যাহত হয়েছে। যদিও বিষয়টি বিশেষ গুরুতর বলে মানতে রাজি নয় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার বা সিইও-র দফতর।
ভোট শুরু হতেই ইভিএম-বিভ্রাট শুরু হয়ে যায় বীরভূমের নানা প্রান্তে। বোলপুরের ২১৮, ২১৯ নম্বর বুথে বিগড়ে যায় ভোটযন্ত্র। একই ছবি ছিল মহম্মদবাজার, বোলপুর নিচুপট্টি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০৫ ও ২০৭ নম্বর, ইলামবাজারের ১১৬, ময়ূরেশ্বরের হাপিনা ২২৩ নম্বর বুথে। দ্রুত অন্য যে-যন্ত্র আনা হয়, সেটিও শুরুতে কাজ করেনি। বিপত্তি দুবরাজপুরেও। জেলা নির্বাচনী অফিসার মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘গোড়ায় কিছু জায়গায় ইভিএমে সমস্যা হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে আর সমস্যা হয়নি।’’
সকালেই কৃষ্ণনগর, রানাঘাট কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথ থেকে ইভিএমে বিগড়োনোর খবর আসতে শুরু করে। চাকদহের যশড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথের ইভিএম সকালেই খারাপ হয়ে যায়। লাইনে দাঁড়ানো ভোটারেরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। শান্তিপুর, রানাঘাটের কয়েকটি বুথে ইভিএমের সমস্যার জন্য ভোট নেওয়া বন্ধ থাকে প্রায় এক ঘণ্টা। ঘণ্টাখানেক পরে যন্ত্রগুলি বদলে দেওয়া হয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন বুথে ভোট শুরুর পরেই যন্ত্র-বিভ্রাটের অভিযোগ আসতে থাকে। কালনায় একটি বুথের লাইনে দাঁড়ানো অপর্ণা নন্দী বলেন, ‘‘এসেছিলাম সকাল সকাল ভোট দিতে। কিন্তু যন্ত্র খারাপ হয়ে যাওয়ায় দু’ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি।’’ একই ছবি পূর্বস্থলী, বর্ধমান শহর, ভাতারের বিভিন্ন বুথে। পূর্বস্থলীর একটি বুথে ভোটগ্রহণের মাঝপথে দেখা যায়, মোট ভোটের থেকে ৫০টি বেশি ভোট পড়ে গিয়েছে! এর পরে সেখানে বেশ কিছু ক্ষণ ভোট বন্ধ থাকে।
পশ্চিম বর্ধমানেরও বিভিন্ন প্রান্তে ইভিএম-বিপত্তি ঘটেছে। জামুড়িয়ার কেন্দা ফ্রি প্রাইমারি স্কুল, রানিগঞ্জের নতুন এগারা, মাইনিং কলেজ, উখড়া, আসানসোলের চেলিডাঙা হাইস্কুল, কুলটির শীতলপুর, বারাবনির গৌরান্ডি হাইস্কুল, বনজেমাহারি, জিতপুর, জামগ্রাম নর্থ, মেলেকোলা, সালানপুরে পিঠাইকেয়ারি, লোয়ারকেশিয়া ফ্রি প্রাইমারি-সহ বিভিন্ন এলাকার বুথে ইভিএম-বিভ্রাট ঘটে। তার জেরে আধ ঘণ্টা থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ ব্যাহত হয় বলে নির্বাচন কমিশনের খবর। জেলা প্রশাসন জানায়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই যথাসম্ভব দ্রুত খারাপ ইভিএম, ভিভিপ্যাট পরিবর্তন করা হয়েছে।
এ দিনের ভোটের শেষে মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আরিজ আফতাব বলেন, ‘‘কয়েকটি জায়গায় ইভিএমে সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু তা মাত্রাছাড়া পর্যায়ে যায়নি। সব ক্ষেত্রে সময়ের মধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy