প্রতীকী ছবি।
ভোটের আগে এলাকা চিনতে হেঁটে হেঁটে নানা রাস্তায় ঘুরলেন জলপাইগুড়ি লোকসভা ভোটের পুলিশ পর্যবেক্ষক। দেখলেন কিছু ভোট কেন্দ্রও। জেলার কোন কোন রাস্তায়, কোন মোড়ে নাকা তল্লাশি চলছে তাও দেখছেন পুলিশ পর্যবেক্ষক অশোক কুমার দাস।
তিন দিন ধরে জেলায় রয়েছেন তিনি। কখনও জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতিকে সঙ্গে নিয়ে নাকা তল্লাশি দেখতে গিয়েছেন, কখনও বা জেলার কোনও পুলিশ আধিকারিককে ছাড়া একাই রাস্তায় ঘুরেছেন। তাঁর গাড়ির সামনের কাঁচে নির্বাচন কমিশনের লোগোর ছাপ দেওয়া বড় হরফের স্টিকার লাগানো ছিল। শুক্রবারই তা খুলিয়ে দিয়েছেন অশোককুমার। প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে ছোট হরফে লেখা স্টিকার সেঁটেছেন গাড়ির কাঁচে। পুলিশ সূত্রের খবর, পর্যবেক্ষক যে কোনও জায়গায় আচমকা হানা দিচ্ছেন। গাড়িতে বড় স্টিকারে পর্যবেক্ষক লেখা দেখে সকলে সর্তক হয়ে যাক, এমনটা তিনি চাইছেন না।
অশোককুমার অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। পর্যবেক্ষক সেলের তরফে জানানো হয়েছে, কারও কোনও অভিযোগ থাকলে পর্যবেক্ষককে জানানো যেতে পারে।
১৯৯৩ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার অশোক দাস এখন তামিলনাড়ু রাজ্য পুলিশে রয়েছেন। চেন্নাইয়ে সিআইডির ক্রাইম ব্রাঞ্চের বিশেষ তদন্ত ডিভিশনের এডিজির পদে রয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রের দাবি, সেই রাজ্যে একাধিক বড় অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন এই আধিকারিক। বেশ কিছু জটিল মামলার তদন্তভারও সামলেছেন। পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে জেলায় এসে প্রথমেই তিনি পুরো লোকসভা কেন্দ্র ঘুরে দেখাতে বলেছিলেন পুলিশকে। কিন্তু সকলকে জানিয়ে কোথাও যাওয়া এই পুলিশ আধিকারিকের পছন্দ নয় বলে পর্যবেক্ষক সেলের কর্মীদের দাবি। সেই কারণে পাইলট ছাড়াই কখনও কখনও গাড়ি নিয়ে ঘুরেছেন।
গত শুক্রবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ির একাধিক ভোট গ্রহণ বুথ এবং তার আশেপাশের এলাকায় গিয়েছিলেন পর্যবেক্ষক। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শুক্রবার জলপাইগুড়ি শহরে ঢুকে তিনি হঠাৎ গাড়ি ছেড়ে দেন। নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে থাকা পুলিশ কর্মীদের গাড়িতে বসতে বলে মার্চেন্ট রোড, ডিবিসি রোড ও আরও কয়েকটি এলাকায় হেঁটে ঘুরেছেন অশোককুমার। রাস্তা চিনতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন পুলিশ কর্মীরা। আজ রবিবার থেকে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢোকার কথা। সেই বাহিনী কোথায় কত মোতায়েন করা হবে তা পুলিশ পর্যবেক্ষক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় বাহিনী জলপাইগুড়ি পৌঁছলে সেই বাহিনীর শীর্ষ অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে বসার কথা পর্যবেক্ষকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy