Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

দ্বন্দ্ব কাটিয়ে হাতে হাত পদ্ম নেতাদের

চন্দ্রকোনা রোডে আপাতত উধাও আদি ও নব্য বিজেপির মধ্যে অন্তর্কলহ। 

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দ্রকোনা রোড শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩৮
Share: Save:

দৃশ্য এক: বিজেপির দু’টি পার্টি অফিস। যুযুধান দুই নেতা নিজেদের মতো করে ভোট যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

দৃশ্য দুই: কয়েকদিন জেল খেটে জামিনে মুক্ত হয়েছেন এক নেতা। কর্মীরা তাঁকে ফুল মালা দিয়ে বরণ করতে এসেছেন। সেখানে হাজির বিপক্ষ শিবিরের নেতা।

পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা নির্বাচন। মাঝে ব্যবধান কয়েক মাসের। তারই মধ্যে এই বদল চন্দ্রকোনা রোড স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বে। দ্বন্দ্ব আদি-বনাম নব্যের। অনেকটা ঠিক শাসক শিবিরের মতোই। বিজেপি সূত্রের খবর, এই দ্বন্দ্বের জেরেই পঞ্চায়েত ভোটে নির্বাচনে গড়বেতা ৩ ব্লকে দলের আশানরূপ ফল হয়নি। একসময়, চন্দ্রকোনা রোডের বাসিন্দা বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বর্তমানে দলের রাজ্য কমিটির সদস্য ধীমান কোলের সঙ্গে জেলা সহ সভাপতি রাজীব কুণ্ডুর দ্বন্দ্ব এতটাই ছিল যে, এক পক্ষ বিরুদ্ধ শিবিরের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিত।

কিন্তু লোকসভা ভোটের আদে দ্বন্দ্বের কাঁটা তুলতে উদ্যোগী হন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। কিছুদিন আগেই চন্দ্রকোনা রোডের দুই শিবিরের পদাধিকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে লোকসভা ভোটের আগে একসঙ্গে কাজ করার আবেদন রাখা হয়। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে চন্দ্রকোনা রোডে আপাতত উধাও আদি ও নব্য বিজেপির মধ্যে অন্তর্কলহ।

গোয়ালতোড় কাণ্ডে সদ্য জামিনে মুক্ত চন্দ্রকোনা রোডের বিজেপি নেতা রাজীব কুণ্ডুকে দলীয় কর্মীদের ফুলমালা দিয়ে বরণের কর্মসূচিতে সশরীরে হাজির ছিলেন ধীমান কোলে ও তাঁর অনুগামীরা। মঙ্গলবারই দুই শিবিরের এই দুই নেতার উপস্থিতিতে যুবমোর্চার কর্মিসভা হয়েছে চন্দ্রকোনা রোডে। দেওয়াল লিখনে, বুথ কমিটি গঠনে, প্রচারেও একসাথে দেখা যাচ্ছে দুই যুযুধান শিবিরের নেতা কর্মীদের। দলের এক নেতা বলেন, ‘‘ভোট বড় বালাই, লোকসভা ভোটের আগে দুই গোষ্ঠীর অনুগামীরা এক হয়ে প্রচারে নামাটা খুবই দরকার ছিল।’’

দ্বন্দ্ব কী ভাবে মিটল? রাজীব বলেন, ‘‘রাজনীতিতে এরকম হয়েই থাকে। তবে এখন সেসব উধাও।’’ আর ধীমানের মন্তব্য, ‘‘যা কিছু দ্বিধা দ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে আমাদের এখন সবার লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করা, তাই করছি। নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি কাটিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছি।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাসের কথায়, ‘‘এতবড় দলে মান অভিমান থাকতেই পারে। নির্বাচনের আগে সেসব কেটে যায়। লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে একটুও জায়গা ছাড়া হবে না।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘বিজেপি ধবংসের দিকেই এগোচ্ছে, উনিশেই তারা সেটা বুঝবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chandrakona BJP Lok Sabha Election 2019
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE