রাজ্য তো দূরস্থান। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পূর্বের নির্বাচনী কাজেও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ব্রাত্য করে রাখল তৃণমূল। নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্বে সেই বার্তা দিয়ে দেওয়া হল দলের অন্দরেও। এদিন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সাংগঠনিক বৈঠকে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দল কারও জন্যে অনন্তকাল অপেক্ষা করতে পারে না। বেহালার (পূর্ব) কেন্দ্রে বিধায়ককে ছাড়াই দল ‘ভোটের তরী’ পার করতে পারবে।’’
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে প্রথমে মেয়রপদ ও মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন শোভন। সেই সময় থেকেই দলের কাজকর্ম থেকেও দূরে আছেন তিনি। তাই লোকসভা ভোটে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে বিকল্প বন্দোবস্ত করে রাখছে তৃণমূল। এদিন বেহালা পূর্ব ও বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের নেতা-কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক বৈঠকে তা স্পষ্ট করে পার্থবাবু বলেন, ‘‘ওঁকে বারাবার ডাকা হয়েছে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি দলের কাজে অনুপস্থিত থেকেছেন।’’ এই পর্বে শোভনের ভূমিকায় কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করেই শোভনের নির্বাচনী কেন্দ্রের কাউন্সিলরদের এবার বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার কথা বলেন পার্থবাবু।
দলের বিধায়ক ও কাউন্সিলর হলেও গত কয়েকমাস ধরে কোনও রাজনৈতিক কাজেই নেই তৃণমূলের একসময়ের দক্ষ সংগঠক। লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা শেষ প্রস্তুতি বৈঠকেও যাননি শোভন। শোভনের পাশের বিধানসভা কেন্দ্রের ( বেহালা পশ্চিম) বিধায়ক পার্থবাবু নিজেই। এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রের পুরপ্রতিনিধি ও দলের পদাধিকারীদের উপস্থিতিতে এদিনের সভায় পার্থবাবু বলেন, ‘‘দল নির্বাচনে নেমে পড়েছে। ভোটের তরী ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে তরী পারও হয়ে যাবে।’’
এদিনের সভায় বুথ ও অন্যান্য স্তরের সাংগঠনিক কাজ সম্পর্কে করণীয় ব্যাখ্যা করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy