রাজু মাহালি। নিজস্ব চিত্র।
ভারত-নেপালের সীমান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া মেচি নদীর কোল ঘেঁষে নকশালবাড়ির অখ্যাত গ্রাম দক্ষিণ কাটিয়াজোটের ততোধিক অখ্যাত বাসিন্দা রাজু। ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল বাংলা সফরে এসে রাজুর বাড়ির বারান্দাতে বসেই, তাঁর স্ত্রী গীতার রান্না দিয়ে দ্বিপ্রাহরিক ভোজন সারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, সঙ্গে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অমিত শাহ-র সৌজন্যে, সংবাদমাধ্যমের দৌলতে, রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান ‘দলিত বিজেপি কর্মী’ রাজু মাহালি।
তার পর কেটে গিয়েছে দু’বছর। কতটা বদলেছে রাজুর জীবন?
রাজুর কথায়, ‘‘অমিত শাহ আসার আগেও আমি রংমিস্ত্রির কাজ করতাম। এখনও তাই করি। মাস গেলে মেরেকেটে হাজার সাতেক রোজগার। বউ গীতা চা বাগানে পাতা তুলত, এখনও তাই করে।” তবে রাজু স্বীকার করেন, ‘‘অমিত শাহ আসার পরে একটা লাভ হয়েছে।” টিনের চাল, ইটে ঘেরা দেড় কামরার বাড়ি দেখিয়ে রাজু বলেন, ‘‘আগে আমার টিনে ঘেরা ঘর ছিল। আর একটা জিনিস পেয়েছি। রান্নার গ্যাস।’’ তবে রাজুর আক্ষেপ, গৌতমবাবু কথা দিয়েছিলেন গীতার একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন। চাকরিটা এখনও পায়নি গীতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy