আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন— এমনই অভিযোগ উঠেছিল উল্টোডাঙায় টহলরত কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ওই ঘটনার যে ভিডিয়ো ফুটেজ জমা পড়েছে, তাতে বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হচ্ছে না বলেই সূত্রের খবর। কলকাতা পুলিশের কাছ থেকেও ওই ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছিল কমিশন। জানা গিয়েছে, সেই রিপোর্টেও বাহিনীকে ‘ক্লিন চিট’ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, এটা ঠিক যে, ওই ঘটনার সময় এক জনের উদ্দেশে বাহিনীর জওয়ানেরা একটু অন্য রকম ভাবে কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাহিনীর প্রটোকল অনুযায়ী, টহলদারির সময়ে গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে, এমন কোনও লোক যদি সেখানে থাকেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিতে পারেন জওয়ানেরা। গত ১৬ মার্চ উল্টোডাঙায় টহলদারির সময়ে প্রটোকল মেনেই তাঁরা সেই কাজটি করেছিলেন।
এ দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘বাড়াবাড়ি’ করলে তাদের হাত মুচড়ে দেওয়ার কথা বলায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতিকে ‘শো-কজ়’ করেছে কমিশন। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিজেপির ‘থিম সং’ নিয়ে ‘শো-কজ়’-এর জবাবে আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় যা বলেছেন তাতে কমিশন সন্তুষ্ট নয় বলেই সূত্রের খবর। তাঁর কাছ থেকে ফের জবাব চাওয়া হতে পারে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
যদিও রাজ্য বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার শনিবার বলেন, ‘‘বাবুল সুপ্রিয় বিজ্ঞাপন হিসাবে গানটিকে প্রোমোট করেননি। তাই তাঁর
গানটির জন্য আগাম অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল না। বিষয়টিকে তিল থেকে তাল করে অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।’’
এ দিন বিকেলে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। পরে তাঁরা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মাংস-ভাত-সহ বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে বশ করে তৃণমূল। এ বার যেন তা না হয়, তা দেখতে বলেছি। ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তে এখন থেকেই নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy