Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রচারে জওয়ানদের ছবি, নালিশ হতেই ঢেকে দিল তৃণমূল

লোকসভা ভোট ঘোষণার পরে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রথম প্রচারসভা। আর সেখানেই উঠল বিধিভঙ্গের অভিযোগ। ঘটনাস্থলও সেই নন্দীগ্রাম।

নির্বাচনী বিধি ভাঙার অভিযোগ হওয়ার পরেই কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

নির্বাচনী বিধি ভাঙার অভিযোগ হওয়ার পরেই কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

লোকসভা ভোট ঘোষণার পরে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রথম প্রচারসভা। আর সেখানেই উঠল বিধিভঙ্গের অভিযোগ। ঘটনাস্থলও সেই নন্দীগ্রাম।

বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ছিল নন্দীগ্রামের শহিদ দিবস। এ দিনই তমলুক লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর সমর্থনে নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের মাঠে প্রচার সভার আয়োজন করে তৃণমূল। মঞ্চের পাশেই পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় নিহত জওয়ানদের ছবি দিয়ে টাঙানো হয়েছিল বড় ব্যানার। উপরে লেখা ছিল— ‘ভারতীয় বীর সেনাদের আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে স্মরণসভা।’ বিষয়টি নজরে আসতেই নিবার্চনী বিধি ভাঙার অভিযোগ তুলে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। শোরগোল পড়ে। নড়ে বসে প্রশাসনও। এরপরই তড়িঘড়ি নিহত জওয়ানদের ছবি দেওয়া ওই ব্যানার কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়। সভা চলাকালীন ওই ব্যানার ঢাকাই ছিল। জেলায় লোকসভা ভোটের রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। সেই মতো তারা ওই ব্যানার ঢেকে দেয়।’’

লোকসভা ভোট ঘোষণার ঠিক আগেই পুলওয়ামায় জঙ্গি হানা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, সেনাবাহিনী সংক্রান্ত কোনও ছবি বা তথ্য দিয়ে ভোটের প্রচার চালানো যাবে না। তৃণমূলের তরফেও এ প্রসঙ্গে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, পুলওয়ামার ঘটনার পরে মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে। অথচ এ দিন নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের দিনই তৃণমূলের নিবার্চনী প্রচারে নিহত জওয়ানদের ছবি টাঙানোয় শোরগোল পড়ে যায়। সুর চড়ায় বিরোধীরা। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মানস কুমার রায় বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের স্মৃতি উস্কে ভোট বাক্সে ফায়দা তোলার রাজনীতি করতে চাইছে তৃণমূল। আমরা নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ কমিশনে জানানোর পরে ওরা ব্যানার ঢেকে দেয়।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি-রও বক্তব্য, ‘‘এতে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়েছে। আমরাও কমিশনে যাচ্ছি।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ও জেলার তৃণমূল নেতা শুভেন্দু সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের সব রাজনীতির লোকই আমার বাড়ির লোক। কোনওভাবে সেখানে বিভেদ করা যাবে না। নন্দীগ্রাম থেকে এক লক্ষ ভোটের লিড দরকার।’’ তবে তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু স্বীকার করেছেন, ‘‘স্থানীয় নেতৃত্বের ভুল বোঝাবুঝিতে এটা হয়ে গিয়েছিল। সে জন্য দুঃখিত। আগামী দিনে যাতে এমন ঘটনা না হয়, সতর্ক থাকব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Politics TMC Lok Sabha Election 2019
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE