Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

লোকসভা ভোটে নতুন মুখ কোথায়, চর্চা তৃণমূলে

এখন যে অবস্থা রয়েছে তাতে রাজ্যে দলের আসন বৃদ্ধির সম্ভাবনাই দেখছে তৃণমূল। লোকসভা ভোট নিয়ে দলের এই মূল্যায়ন থেকে আরও বেশি সতর্ক হতে চাইছে তৃণমূল।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:২১
Share: Save:

লোকসভা ভোটে কমবেশি দশ আসনে প্রার্থী বদল করতে পারে তৃণমূল। এই আসনগুলির বেশির ভাগই দলের হাতে রয়েছে। নিরুপায় না হলে কোনও বিধায়ককে লোকসভার প্রার্থী না করার কথাও ভাবনাচিন্তা চলছে দলের অন্দরে। এই অভিমুখে আলোচনা আপাতত শুরু হলেও তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত ভাবে স্থির করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এখন যে অবস্থা রয়েছে তাতে রাজ্যে দলের আসন বৃদ্ধির সম্ভাবনাই দেখছে তৃণমূল। লোকসভা ভোট নিয়ে দলের এই মূল্যায়ন থেকে আরও বেশি সতর্ক হতে চাইছে তৃণমূল। সেই কারণেই বেশ কিছু আসনে গত বারের বিজয়ীদের প্রার্থী করা নিয়েও ভাবনা শুরু হয়েছে।

কৃষ্ণনগর ও মেদিনীপুরে প্রার্থী বদলের ভাবনা স্পষ্ট। কৃষ্ণনগরে তাপস পালের সঙ্গে নির্দিষ্ট কারণেই দূরত্ব তৈরি করেছে দল। রাণাঘাট আসনটিও এই ভাবনায় রয়েছে। মেদিনীপুরে সন্ধ্যা রায়ের শারীরিক বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছে তাঁদের। হাওড়া আসনেও প্রার্থী বদল করতে পারে তৃণমূল। অভিনেতা দেব চাইলে তাঁকে প্রার্থী করতে অবশ্য আপত্তি নেই দলের। বাঁকুড়া কেন্দ্রে মুনমুন সেনকে নিয়ে স্থানীয় নেতাদের ক্ষোভ রয়েছে। তা কানে এসেছে দলের রাজ্য নেতৃত্বের। দার্জিলিংয়ে অবশ্য এমনিতেই নতুন প্রার্থী করতে হবে তাদের। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই কেন্দ্রগুলিতে বদলের কথা ভাবা হতে পারে।’’

আরও পড়ুন: প্রথম আয়াপ্পা দর্শনে ছুঁতেই হবে বাবর মসজিদ

এই আসনগুলি নিয়ে ভাবনার কারণ অনেকটাই প্রকাশ্যেই এসে গিয়েছে। তবে দলের ভিতরে আরও কয়েকটি আসন নিয়ে আলোচনা চলছে। জঙ্গলমহলের দুই সাংসদের ব্যাপারে বেশি সতর্ক তৃণমূল। স্থানীয় সংগঠনের সায় ছাড়া বিজয়ীদের ফের টিকিট দিতে আপত্তি আছে নেতৃত্বের একাংশে। উত্তরবঙ্গেও এক সাংসদকে নিয়ে ভাবনা রয়েছে দলের অন্দরে। এই সূত্রেই বীরভূম ও উত্তর ২৪ পরগনার পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দলীয় নেতাদের প্রাথমিক আলোচনায় ঠিক হয়েছে, শেষ পর্যন্ত এই বদল হলেও এ বার আর কোনও বিধায়ককে টিকিট দেবে না তৃণমূল।

(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)

দলের এক নেতার কথায়, ‘‘নেহাত দরকার না হলে কোথাও বিধায়কদের লোকসভায় প্রার্থী করা হবে না। তাতে ফের অযথাই উপনির্বাচনে যেতে হবে।’’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘কোনও বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হলে একাধিক প্রত্যাশী নিয়ে চাপ তৈরি হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE