মাস খানেক বাকি রয়েছে ভোটের। এলাকায় জোরকদমে প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের দুই নেতাকে। এক জন হলেন, আউশগ্রাম ব্লকের দিগনগর ১ অঞ্চল সভাপতি মাধব রায় ও অন্য জন আউশগ্রাম ১ ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান। তাঁদের অপসারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ মার্চ বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে আউশগ্রাম ১ ব্লকের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই দুর্নীতি-সহ বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে মাধববাবুকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানান পর্যবেক্ষক। ওই দিনই নতুন অঞ্চল সভাপতি হিসাবে চিঠি দেওয়া হয় সনৎ ভট্টাচার্যকে। মাধববাবুর দাবি, “আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে তা ঠিক নয়। দলের একটা অংশ আমাকে সরানোর জন্য সক্রিয় ছিল।’’
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই পদে ছিলেন সনৎবাবু। পরে তিনি পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর জায়গায় সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় মাধব রায়কে। মাধববাবু আউশগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি শেখ সালেক রহমানের অনুগামী হিসাবেই এলাকায় পরিচিত। কর্মীদের একাংশের দাবি, গত পাঁচ বছরে তাঁর বিরুদ্ধে তেমন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। তার পরেও ভোটের মুখে এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তাঁরা। ব্লক সভাপতি সালেক রহমান বলেন, ‘‘এটা দলের ঊর্ধতন নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত। সাংগঠনিক কাজ ঠিকমতো করতে না পারার জন্যই তাঁকে সরানো হয়েছে।” এর প্রভাব ভোটে পড়বে না বলেও তাঁর দাবি।
এ মাসের গোড়ায় গুসকরা কলেজে আউশগ্রাম ১ ব্লকের কর্মিসভা করেন অনুব্রত। কর্মীদের দাবি, সে দিন মঞ্চে মাধব রায়কে ডেকে এলাকার পরিস্থিতি, কত লিড থাকবে তা জানতে চান তিনি। মুচলেকাও নেওয়া হয়। তবে অপসারণের ব্যাপারে কোনও আভাস মেলেনি। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চল সভাপতি সনৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পর্যবেক্ষক আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশ মতো কাজ করব।” আপাতত বুথস্তরের পুরনো কমিটি নিয়েই ভোট পর্যন্ত কাজ চালানো হবে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy