নাগরিক পঞ্জীকরণ এবং নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনকে সামনে রেখে ভোট চাইল বিজেপি ও তৃণমূল। তৃতীয় দফা ভোটের আগের দিন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সোমবার বলেন, ‘‘গোটা দেশেই এই প্রক্রিয়া হবে। তবে এনআরসি’র (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) আগে নাগরিকত্ব আইন (সংশোধনী) পাশ করা হবে।’’ তারপরই শাহের এই দাবিকে ‘অস্ত্র’ করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ভোটে হিন্দু-মুসলমান ভাগাভাগি করতেই বিজেপি এ সব কথা বলছে।
প্রথম দু’দফার ভোটে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যুদ্ধের মেজাজেই ছিল দুই প্রধান প্রতিপক্ষ। তৃতীয় দফার ভোটের আগে তা আরও নির্দিষ্ট করলেন বিজেপি সভাপতি। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘আগে আইন সংশোধন করে নাগরিক চিহ্নিত করার কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। তারপর নাগরিক পঞ্জি তৈরি করে অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা হবে।’’ বিজেপির এই অবস্থানের সমালোচনা করেন মমতা। এদিন বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘আগে বলছিল বাংলায় করব। এখন বলছে, গোটা দেশেই করব। তাতে যিনি রাজস্থানে কাজ করেন তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পাঠাবে। এখানে অন্য রাজ্যের যাঁরা কাজ করেন তাঁদের তো আমরা ধাক্কা দিতে পারব না। কিন্তু বিহার, অসমে বাঙালিকে ঘাড় ধাক্কা দেবে।’’
গত কয়েকদিন ভোটের প্রচারে এই ব্যাখ্যা দিয়ে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যানের আবেদন করেছিলেন মমতা। এনআরসি নিয়ে বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত বলেন, ‘‘এনআরসি’র কথা বলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন ওঁরা। কিন্তু দেশে বিজেপি সরকার আর আসবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy