রাজ্যে পুলিশ-প্রশাসনের উপরে মানুষের ভরসা তলানিতে ঠেকেছে বলে দাবি করলেন, তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বুথের ৪০ মিটারের মধ্যে খুনের ঘটনা ঘটল, তার সদুত্তর দিতে পারলেন না বিবেক দুবে— নির্বাচন কমিশনের তরফে পাঠানো পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। ২৩ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় একটি বুথের ৪০ মিটারের মধ্যে কংগ্রেস কর্মী টিয়ারুল শেখকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। কাছে দাঁড়িয়ে তা দেখেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া, সাত দফার ভোট জুড়েই নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। বুধবার এ প্রসঙ্গে দুবের দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এখনও আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। আর ভগবানগোলার বুথ ও নির্বাচন কেন্দ্র পাহারার দায়িত্বে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। খুন বা ওই ধরনের গন্ডগোল দেখার কথা রাজ্য পুলিশের। যদি সে দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথ ছেড়ে বেরিয়ে এসে গন্ডগোল সামলাতে যেত, তাহলে বুথ অরক্ষিত হয়ে যেত।’’
কলকাতায় আসার আগেই দুবে জানিয়েছিলেন, তাঁর কাজ বাংলার ভোটারদের ‘সাহসী’ করে ভোটের দিন বুথে এনে হাজির করা। এদিন তিনি বলেন, ‘‘আমি সে অর্থে খুশি। এ রাজ্যে ৮১ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। দেশের গড়ের তুলনায় যা অনেক বেশি।’’ সাত দফা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পরে তাঁর দাবি, ‘‘আপনাদের রাজ্যে নবীন পুলিশ অফিসারদের সামনে রোল মডেলের অভাব। হাতে গোনা কয়েকজন অফিসার নিরপেক্ষ কাজ করতে চাইলেও পারছেন না। পুলিশ-প্রশাসনে মানুষের ভরসা তলানিতে।’’
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘পদের আশায় বিজেপি মুখপাত্রের মতো কথা বলছেন দুবে। আমাদের রাজ্যে পুলিশি সংস্কৃতি বিহার-উত্তরপ্রদেশের মতো নয়, যেখানে এসপি খুন হয়ে যায়। রাজ্যের পুলিশের রোল মডেল, আর যে-ই হন, বিবেক দুবে হবেন না। ৮০০ বাহিনী নিয়ে এসেছেন, সেটা ব্যতিক্রমী। ভোটারও নিয়ে আসতে পারতেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy