Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

লালবাজারকে ধন্যবাদ লন্ডনের পুলিশকর্তার

লন্ডন পুলিশের ন্যাশনাল ফ্রড অ্যান্ড সাইবার ক্রাইম বিভাগের ডিরেক্টর জোনাথন ফ্রস্ট শুক্রবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে ফোন করে ওই চক্রকে পাকড়াও করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

লালবাজার।—ফাইল চিত্র।

লালবাজার।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৫৫
Share: Save:

এক-দু’জন নয়, কলকাতায় বসে গত চার বছরে অন্তত ২৩ হাজার ব্রিটিশ নাগরিককে ঠকিয়েছে ধৃত কলসেন্টার জালিয়াতেরা। তদন্তে নেমে লন্ডন পুলিশের কাছ থেকে এ কথাই জানতে পেরেছেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা। একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার নাম করে পরিষেবা দেওয়ার ছুতোয় এক-এক জন বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে গড়ে পাঁচ হাজার পাউন্ড নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই চক্র ধরা পড়ায় বিলেতের পুলিশ আপাতত স্বস্তিতে বলে জানাচ্ছে লালবাজার।

১৭ অক্টোবর রাতে কলকাতার দু’টি কলসেন্টারে হানা দিয়ে ওই চক্রের সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ, হার্ড ডিস্ক এবং অন্যান্য নথিপত্র। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা-প্রধান মুরলীধর শর্মা জানান, লন্ডন পুলিশের ন্যাশনাল ফ্রড অ্যান্ড সাইবার ক্রাইম বিভাগের ডিরেক্টর জোনাথন ফ্রস্ট শুক্রবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে ফোন করে ওই চক্রকে পাকড়াও করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

পুলিশি সূত্রের খবর, অভিযুক্তেরা গত চার বছরে বিদেশি নাগরিকদের ঠকিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছে। ওই চক্রের মূল চাঁই সিদ্ধার্থ বাণ্ঠিয়া-সহ অভিযুক্তদের অনেকের একাধিক বিদেশি গাড়িও রয়েছে। শুধু ব্রিটেন নয়, আমেরিকাতেও ওই চক্র জাল ছড়িয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগে জার্মান পুলিশের কাছ থেকে এই ধরনের প্রতারণা চক্রের খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেই ঘটনায় বিধাননগর পুলিশ ও সিআইডি কিছু অভিযুক্তকে গারদে পোরে। তার পরে খাস কলকাতাতেও একাধিক কলসেন্টারের মালিককে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু এ বার সেই প্রতারণার জাল অনেক বড় বলে পুলিশের সন্দেহ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

London Police Crime Lalbazar Kolkata Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE