Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

মদন-মদতেই জমি নিতেন প্রশান্ত: ইডি

প্রথমে সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের ডানহাত হয়ে ওঠা। তার পরে রাজ্যের মন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে পরিচয়। এবং ক্রমে সেই পরিচয় এমনই ঘনিষ্ঠতায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র অভিযোগ, সারদার হয়ে জমি সংগ্রহে মদনবাবুর সাহায্য নিতেন প্রশান্ত নস্কর। মন্ত্রীর মদতেই সারদা গার্ডেন্সের ম্যানেজার প্রশান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর এবং লাগোয়া এলাকায় দেদার জমি কিনছিলেন।

ব্যাঙ্কশাল কোর্টে প্রশান্ত নস্কর। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র

ব্যাঙ্কশাল কোর্টে প্রশান্ত নস্কর। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৪:৩৫
Share: Save:

প্রথমে সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের ডানহাত হয়ে ওঠা। তার পরে রাজ্যের মন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে পরিচয়।

এবং ক্রমে সেই পরিচয় এমনই ঘনিষ্ঠতায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র অভিযোগ, সারদার হয়ে জমি সংগ্রহে মদনবাবুর সাহায্য নিতেন প্রশান্ত নস্কর। মন্ত্রীর মদতেই সারদা গার্ডেন্সের ম্যানেজার প্রশান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর এবং লাগোয়া এলাকায় দেদার জমি কিনছিলেন। প্রভাব খাটিয়ে এবং জোর করে কম দামে মালিকদের কাছ থেকে জমি কেনা হয়েছিল বলে জানাচ্ছে ইডি।

অভিযুক্ত প্রশান্তকে সোমবার ফের আদালতে তোলে ইডি। তারা বিচারককে জানায়, অভিযুক্তকে জেরা করে বেশ কিছু নতুন তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। সেই সব তথ্য খতিয়ে দেখে নতুন প্রমাণ জোগাড়ের জন্য ধৃতকে আরও জেরা করা দরকার। তাই প্রশান্তকে চার দিন তাদের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় ইডি। কলকাতার নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক মহম্মদ মুমতাজ খান সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। মুখ্য বিচারকের নির্দেশ, ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই অভিযুক্তকে ইডি-র হেফাজতেই রাখতে হবে।

বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া এবং তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রশান্তকে গ্রেফতার করে ইডি। পরের দিন তাঁকে আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইডি-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সেই অনুযায়ী এ দিন ফের প্রশান্তকে আদালতে হাজির করানো হয়।

প্রশান্তকে জেরা করে নতুন কী তথ্য পেয়েছেন ইডি-র তদন্তকারীরা?

ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র আদালতে জানান, তদন্তকারীরা রবিবার অভিযুক্তকে নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে সারদা গার্ডেন্সে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রশান্তের চোখধাঁধানো বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি মিলেছে। যে-সব জমি কেনার জন্য তাদের মালিকদের সঙ্গে মৌখিক চুক্তি করা হয়েছিল, ওই নথিগুলি সেই সংক্রান্ত। মৌখিক চুক্তি করার পরে জমি-মালিকদের কিছু কিছু টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকার পরিমাণও কিছু নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে বলে আদালতে জানান ইডি-র আইনজীবী।

একই সঙ্গে আদালতে জানানো হয়, সারদা গার্ডেন্সে সারদার বেশ কিছু জমি-জায়গা এবং অন্যান্য সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি-র দাবি, সারদা গার্ডেন্স সংক্রান্ত যাবতীয় চুক্তি সুদীপ্তের মিড ল্যান্ড পার্কের অফিসে হয়েছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছেন প্রশান্ত।

ইডি সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্বের জেরায় সারদা গোষ্ঠীর আরও কিছু সম্পত্তির হদিস দিয়েছেন প্রশান্ত। ওই সব জমিও বাজেয়াপ্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানাবে ইডি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE