Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মাদ্রাসায় বেতন বকেয়া ৩০ মাস, ক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা

তৃণমূল সরকার রাজ্যের ২৩৪টি মাদ্রাসাকে অনুমোদন দিলেও তাদের আর্থিক অনুদান দেয় না। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ‘এসপিকিউইএম’ প্রকল্পের অর্থে ওই মাদ্রাসাগুলির শিক্ষকেরা এক বার বেতন পেয়েছিলেন।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। —ফাইল চিত্র

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:০৭
Share: Save:

রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে তাঁদের ৩০ মাসের বেতন বকেয়া বলে অভিযোগ তুললেন মাদ্রাসা শিক্ষকদের একাংশ। রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রাজ্যের পাল্টা অভিযোগ কেন্দ্রের অসহযোগিতার দিকে।

তৃণমূল সরকার রাজ্যের ২৩৪টি মাদ্রাসাকে অনুমোদন দিলেও তাদের আর্থিক অনুদান দেয় না। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ‘এসপিকিউইএম’ প্রকল্পের অর্থে ওই মাদ্রাসাগুলির শিক্ষকেরা এক বার বেতন পেয়েছিলেন। ওই শিক্ষকদের অভিযোগ, পরবর্তী কালে রাজ্য সরকার যথাসময়ে ওই প্রকল্পের পুনর্নবীকরণ না করায় তাঁরা সে সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে এ বিষয়ে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে রাজ্য কোনও প্রতিনিধি পাঠায়নি। ফলে, এ বারেও ওই কেন্দ্রীয় অনুদান থেকে বঞ্চিত হবেন তাঁরা। সব মিলিয়ে তাঁদের ৩০ মাসের বেতন বকেয়া বলে অভিযোগ।

‘অনুদানহীন মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটি’র তরফে আব্দুল ওহাব মোল্লা বলেন, ‘‘২০১৬ সালেও এক বার কেন্দ্র এ বিষয়ে দিল্লিতে বৈঠক করেছিল। তখন রাজ্যের প্রতিনিধি গেলেও তিনি প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে যাননি। তাই সে বার আমাদের অনুদানের আর্জি খারিজ হয়ে যায়।’’ এর বিহিত চাইতে দুর্গাপুজোর পরে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ওহাবরা। সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন অবশ্য বলেন, ‘‘এ সব অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা সব বৈঠকেই সময়মতো সব নথি নিয়ে যোগ দিয়েছি। আসলে কেন্দ্রই আর ওই প্রকল্পে টাকা দিতে চাইছে না। পুজোর পরে আমরা আবার দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Giasuddin Molla Madrasa Teacher Salary
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE