রায়বরেলীর বিধায়ক অদিতি সিংহ।
বিজেপি-র ‘মারমুখী রাজনীতি’র প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পাশে দাঁড়াল সর্বভারতীয় কংগ্রেস। আর এ দিনই তৃণমূলের সভা থেকে এ রাজ্যের কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কংগ্রেস দিল্লিতে বিজেপির বিরোধিতা করে। আর এখানে বিজেপির হাত ধরে। ওদের নীতি-আদর্শ কোথায়?’’
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে বলেছিলেন, ‘‘পুলিশ গুন্ডাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। গুন্ডারা যদি শুধরে না যায়, তা হলে আমরা ক্ষমতায় আসার পরে তাদের এনকাউন্টারে মরতে হবে। যেমন এখন উত্তরপ্রদেশে হচ্ছে।’’
ওই হুমকির প্রতিক্রিয়ায় এ দিন মমতা বলেন, ‘‘কে একটা সভাপতি আছে ওদের! এক একটা নেতা কী ভাষায় কথা বলছে! বলছে, এনকাউন্টার করে মেরে দেব, গুলি চালাব, শেষ করে দেব। আয় না, দেখা না, কত ক্ষমতা! ক্ষমতা তো দেখতেই পাচ্ছি! ক্ষমতা তো দিল্লিতে আছে বলে!’’ মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ‘‘আমরা বিজেপি-র মতো জঙ্গি সংগঠন নই। ওদের ঔদ্ধত্য আছে। উগ্রতাবোধ আছে। ধর্মবিদ্বেষ আছে। ওরা কাউকেই পছন্দ করে না। না মুসলিম, না হিন্দু, না শিখ। গণপিটুনি দিচ্ছে।’’ মমতাকে সমর্থন করে কংগ্রেস নেতা প্রমোদ দিল্লিতে এআইসিসি দফতরে বলেন, ‘‘আমরা মমতার সঙ্গে একমত। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে দিল্লি কোনও ব্যবস্থাই নিল না।’’ মমতা কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেছেন শুনে প্রমোদের জবাব, ‘‘উনি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে আছেন। তিনি কংগ্রেসকে যদি আক্রমণও করেন, তা হলে এমনিই বলেছেন।’’
দিলীপবাবু অবশ্য এ দিনও ঝাড়গ্রামে বলেন, ‘‘শাসক দলের গুন্ডাদের সহযোগিতা করলে পুলিশকেও আমরা কাজ করতে দেব না। গ্রামে পুলিশ ঢুকলে বেঁধে রাখব।’’
এ দিন আরও একবার রাজ্যে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি ও মাওবাদীদের এক বন্ধনীতে নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষ়়ড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy