ফাইল চিত্র।
মন্ত্রিসভার পাশাপাশি বুধবার ব্যাপক রদবদল হয়েছে আমলাদেরও। এ দিন ২৭ জন বিভিন্ন পর্যায়ের আইএএস অফিসারকে বদলি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে আট জন জেলাশাসক রয়েছেন। নবান্নের খবর, পঞ্চায়েত ভোট পর্বে যে সব আমলার কাজে শাসক দল খুশি ছিল না, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার যাঁদের কাজে সরকার সন্তুষ্ট তাঁদের আরও ‘ভাল’ জায়গায় বদলি করা হয়েছে।
এ দিনের নির্দেশে পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং বাঁকুড়ার জেলাশাসক পদে নতুন অফিসার দেওয়া হয়েছে। বীরভূমে এ বার জেলাপরিষদও বিনা ভোটে জিতে নিয়েছিল তৃণমূল। সেখানকার জেলাশাসক পি মোহনগান্ধীকে সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা আসছেন হুগলিতে। বাঁকুড়ার বর্তমান জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুকে পাঠানো হচ্ছে বীরভূমে। বাঁকুড়ায় বিষ্ণুপুরে ভোট না হলেও আদিবাসী এলাকায় বিরোধীরা পা ফেলেছে। বাঁকুড়ায় নতুন জেলাশাসক হচ্ছেন উমাশঙ্কর এস। উত্তর দিনাজপুরের ভোটে তৃণমূল ভাল ফল করেছে। সেখানকার জেলাশাসক আর এ আয়েষাকে আনা হচ্ছে ঝাড়গ্রামে। ঝাড়গ্রামে অবশ্য শাসক দলের ফল বেশ খারাপ হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে নতুন জেলাশাসক হচ্ছেন নিখিল নির্মল। এখানেও শাসক দলের ফল ভাল নয়। একই কারণে বদলাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসকও, সেখানে শরদ দ্বিবেদীর জায়গায় যাচ্ছেন দীপাপ প্রিয়া।
শুধু জেলাশাসক নয় বদল হয়েছেন কয়েকজন সচিব পর্যায়ের অফিসারও। গত কয়েক বছরে রাজ্যের রাস্তা ঘাটের উন্নতি চোখে পড়ার মতো বলেই অনেকের মত। সেই পূর্ত দফতরের সচিব ইন্দিবর পাণ্ডেকে পরিবেশ দফতরে বদলি করা হয়েছে। এই বদলি নিয়ে নবান্নে চর্চা সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া অজিতরঞ্জন বর্ধনকে পঞ্চায়েত সচিব করা হয়েছে। নতুন পূর্ত সচিব হচ্ছেন অর্ণব রায়।
এর আগে বেশ কয়েকটি জেলার এসপি বদল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সে যাত্রায় পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার বদলি হলেও জেলাশাসকের কোনও অদলবদল হয়নি। নবান্নের এক কর্তা জানান, এই জেলাশাসক-পুলিশ সুপাররাই ২০১৯-এর লোকসভা ভোট পরিচালনা করবেন। সেই অঙ্ক কষেই এক বছর আগে থেকেই নিজের টিম সাজালেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy