মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানের সিডি রাজ্যের সব ক’টি থানা, পুলিশ কমিশনারেট, জেলা সদর, মহকুমা এলাকার পুজো প্যান্ডেল এবং জনবহুল জায়গায় বাজানো হবে। সেই মোতাবেক ৩৫০০টি সিডি জেলার পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের নিয়ে যাওয়ার জন্য নবান্নর পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪টি জেলা এবং ছ’টা পুলিশ কমিশনারেটে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-সহ হোর্ডিং ও সিডি পাঠানো হবে। এক পুলিশ কর্তা জানান, রাজ্যে ৪১৫টি পুলিশ স্টেশন রয়েছে। সেখানে মোট ৩৩২০টি, পুলিশের ইউনিট হেড কোয়ার্টার রয়েছে ১৮০টি। সেখানে মিলে ৩৫০০টি সিডি দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি থানায় আটটি করে এবং প্রতিটি জেলা, কমিশনারেট এবং মহকুমায় ছ’টি করে সিডি দেওয়া হবে। হোর্ডিং-এ লেখা থাকছে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, পরিবেশ রক্ষা ইত্যাদির বার্তা।
নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সিডি বিলির এই উদ্যোগকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী মহলে। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের মন্তব্য, ‘‘পুলিশ ‘গান স্যালুট’ দেয় জানতাম। এখন মুখ্যমন্ত্রীর গানকে স্যালুট করতে হচ্ছে!’’ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহের বক্তব্য, ‘‘সরকারি যন্ত্রকে ব্যবহার করে এই রকম আত্মপ্রচার গোটা বিশ্বেই অভূতপূর্ব!
প্রয়োজনে আমরা এটা নিয়ে আদালতে যেতে পারি।’’
তৃণমূলের মহাসচিব এবং রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, সিডি বাজানো নিয়ে কোনও সরকারি নির্দেশ জারি হয়নি। পার্থবাবু নিজেও কলকাতায় পুজোর সঙ্গে জড়িত। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান-কবিতা সকলে এমনিই শোনেন। কাউকে ডেকে শোনানোর ব্যাপার নেই! আমরা পুজোমণ্ডপে ওই সি়ডি বাজাচ্ছি। তৃণমূলের মুখপত্রের স্টলেও সিডি রাখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy