—ফাইল চিত্র।
ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি ইন্টারনেটে নজরদারি চালাতে কেন্দ্র বিধি বদলের যে চেষ্টা করছে, তার বিরোধিতা করতে সব রাজনৈতিক দলের কাছে আহ্বান জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভা ভোটের ঠিক আগে কেন এমন বিধি বদলের পথে কেন্দ্র হাঁটতে চাইছে, তার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। নিজের ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার মমতা উদ্বেগ ব্যক্ত করে লিখেছেন, ‘ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, এমন আইন আনতে চাইছে বিজেপি সরকার। তাদের খারাপ রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা ও মানুষের স্বাধীন মতামতে তারা চিন্তিত। সে জন্যই কি বাক্-স্বাধীনতা খর্ব করতে চাইছে বিজেপি সরকার?’
কম্পিউটার-সহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন ক্ষেত্রের তথ্য জানার জন্য বড়দিনের আগে কেন্দ্র বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তখনই মমতা এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমার সরকারের সব তথ্য যদি জেনেই নেয়, তা হলে আমার মন্ত্রগুপ্তির শপথ নেওয়ার কী দরকার?’’ রাজ্য সরকারগুলিতে নিষ্ক্রিয় করতে কেন্দ্র এই পদক্ষেপ করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন মমতা।
এ দিন সেই আক্রমণের সুর একধাপ চড়িয়ে মমতা ফেসবুকে বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ন্ত্রিত হতে দিতে পারি না।’’ এর প্রতিবাদে তৃণমূলের সাংসদরা সংসদে সরব হবেন বলে মমতা জানিয়েছেন। এরই সঙ্গে মমতা মনে করিয়ে দেন, ‘‘২০১৪ সালে এই সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরেই অন্যদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণিয়েছিল বিজেপি। এবং সেই আক্রমণের ফল তাদের ভোটে জিততে সাহায্য করেছিল। তা হলে এখন ওরা সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে এত ভয় পাচ্ছে কেন? এই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকৃত জনমত প্রকাশের মাধ্যম হয়ে উঠছে বলে কি বিজেপি চিন্তিত?’’ এর জবাবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্যাই তো বেশি। ওঁর বিরুদ্ধে কার্টুন করার জন্য অম্বিকেশ মহাপাত্রকে পুলিশে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করার জন্য ওঁরই এক জেলাশাসক এক যুবককে পেটালেন। এ ধরনের অপ্রিয় ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্যই তো ইন্টারনেটে নজরদারি চালানো দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy